AIDWA ASSAM ARREST

আসামে বিপন্ন মহিলাদের আইনি সহায়তা দেবে মহিলা সমিতি

জাতীয়

বাল্য বিবাহ রোধের নামে হিংসাত্মক অভিযান চলছে আসামে। এই কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে রাজ্যে বিজেপি সরকারকে। বৃহস্পতিবার এই দাবি জানিয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। বিপন্ন মহিলাদের আইনি এবং আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন।

মহিলা সমিতির সর্বভারতীয় সভাপতি পিকে শ্রীমতী এবং সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওলে এদিন প্রেস বিবৃতি জারি করেছেন। মহিলা সমিতি বলেছে, বেআইনি পদ্ধতিতে যাঁদের পরিবারের থেকে আলাদা করে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে, এখনই মুক্তি দিতে হবে তাঁদের। বিপন্ন মহিলাদের আইনি এবং আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনের আসাম রাজ্য কমিটি। 

শ্রীমতী এবং ধাওলে বলেছেন, ‘‘বাল্য বিবাহের সমস্যা নিয়ে মহিলা সমিতি বরাবর সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে গিয়েছে। দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও তা চলছে। সব সরকারের কাছেই সচেতনা প্রসারের দাবি জানানো হয়েছে। আইন সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি এ কাজে প্রয়োজন দারিদ্র, অশরক্ষা এবং কন্যাশিশুর দিকে অবেহেলার মতো সামাজিক বিষয়। এই বাস্তবতা রয়েছে বলেই নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’  

বাল্য বিবাহ রোধের নামে বেছে বেছে কয়েকটি জেলায় অভিযান শুরু করেছে আসামের বিজেপি সরকার। নাবালিকাকে বিয়ে করেছে, এই অভিযোগে পুরুষদের বন্দি করা হয়েছে। এমন বহু পরিবারের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই, সন্তানও রয়েছে। পুরুষরা জেলবন্দি হওয়ায় বিপর্যস্ত স্ত্রীরা, বিপন্ন বহু পরিবার। 

আসামে মহিলারা বিক্ষোভে শামিলও হয়েছে। তবে সব প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করার রাস্তা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য বানানো হচ্ছে। নতুন করে সামাজিক বিভাজন তৈরি হচ্ছে। মহিলা সমিতি এদিন বলেছে, ‘‘২০২১’র জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা আগেই জানিয়েছে যে আসামে ৩২ শতাংশ মহিলার বিয়ে হয় আঠারো বছরের কম বয়সে। এবার কী তা’হলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার আসামের অর্ধেক বাসিন্দাকে জেলে ঢোকাবেন?’’ 

ধাওলে এবং শ্রীমতী বলেছেন, ‘‘ বাল্য বিবাহ রোধ আইনের সম্পূর্ণ বিকৃত প্রয়োগ হচ্ছে আসামে। নিপীড়নের আবহ তীব্র করে রাজ্যময় ত্রাস ছড়ানো হবে?’’ 

মহিলা সমিতির দাবি, বেআইনি পদ্ধতিতে পরিবার থেকে আলাদ করে বন্দি রাখা প্রত্যেককে মুক্তি দিতে হবে। হেনস্তার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে সামাজিক প্রেক্ষিত বিচার করতে হবে। দারিদ্র্য, অশিক্ষা দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতা ছড়াতে হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment