Elephant Attack

নাথুয়ার জঙ্গলে হাতির হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু

জেলা

ডুয়ার্সে মানুষ-হাতি সংঘাত আবারও এক মর্মান্তিক পরিণতি।‌ রবিবার ভোরে  জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের চালসা সংলগ্ন শালবাড়ি মোড় এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আচমকা বিরাট এক হাতির সামনে পড়ে আতঙ্কে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় লিপিকা রায়(২৬) নামে এক গৃহবধূর। রবিবার রাতে নাথুয়ার জঙ্গলে হাতির হামলায় প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ। মৃতের নাম অমর বাহাদুর ছেত্রী(৭০)।
নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাষা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম খয়েরকাটা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন অমর বাহাদুর ছেত্রী। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই রবিবার অমর বাহাদুর ছেত্রী কয়েকজনের সঙ্গে নাথুয়ার জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি হাতির দল তাদের সামনে এসে পড়ে। সঙ্গে থাকা অন্যরা দ্রুত দৌড়ে কোনোমতে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। কিন্তু বৃদ্ধ অমর বাহাদুর হাতির হামলার মুখে পড়ে যান। তিনি সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তাঁর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় সঙ্গীরা বাড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা গভীর রাতে জঙ্গলে অনুসন্ধান শুরু করেন। তবে, তীব্র অন্ধকারের কারণে রাতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে নাথুয়া বিটের সাউথ ডায়না ব্লকের জঙ্গল এলাকা থেকে অমর বাহাদুর ছেত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে বানারহাট থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। 
জঙ্গল এলাকায় গরু চড়ানো এবং অকারণে প্রবেশ করা বহুবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অনেকেই সেই নির্দেশ মানছেন না। এই কারণেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে বলে দাবি করেছে বন দপ্তর। স্থানীয়দের অসতর্কতাকেও দায়ী করছে। বন্যপ্রাণ ও মানুষের এই সংঘাত কমাতে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরছে স্থানীয় মানুষজন।

Comments :0

Login to leave a comment