USAID MODI POGRAMME

আমেরিকার ইউএসএইড’র টাকায় একাধিক প্রকল্পে চালিয়েছে মোদী সরকার

জাতীয়

আমেরিকার ‘ইউএসএইড’ নিয়মিত অর্থ জুগিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের একাধিক প্রকল্প রূপায়নে। 
পরিশ্রুত পানীয় জল থেকে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’, এমন একাধিক প্রকল্পের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা বা ইউএসএইড’র টাকা এসেছে। 
বিজেপি সরকারের রয়েছে এমন একাধিক রাজ্য নিয়েছে ইউএসএইড’র টাকা। এই তথ্য প্রকাশ হতে থাকায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক থেকে বার্ষিক রিপোর্ট সামনে আনা হয়। যেখানে জানানো হয়েছিল যে ভারতে ৭টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকার সমঝোতা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে।
ইউএসএইড’র অর্থ সহায়তা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণের লক্ষ্য করেছে বিজেপি। গত সপ্তাহেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ এই পর্বের বিতর্ক জোরালো করেছে। আমেরিকার ‘সরকারি দক্ষতা’ দপ্তর এই সহায়তায় প্রশ্ন তুলে তালিকা প্রকাশ করে। ট্রাম্প বলেন ২১ মিলিয়ন ডলার (টাকার অঙ্কে প্রায় ১৭৮ কোটি) ভারতে ভোটের হার বাড়াতে আমরা খরচ করব কেন? 
ট্রাম্পের বক্তৃতাকে হাতিয়ার করে বিজেপি। কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নামে বিদেশ মন্ত্রকও। টাকা পৌঁছেছে কাদের কাছে তদন্ত করে তা দেখা হবে বলে জানানো হয়। কংগ্রেসও তদন্তের দাবি তোলে। আবার দেখা গিয়েছে আমেরিকা ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল বাংলাদেশের জন্য। 
এই বিতর্কেই নতুন তথ্য বেরিয়ে পড়েছে। ইউএসএইড ভারতের নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে ২০১৫-তে সমঝোতাপত্র সই করে। সে বছরের ১৩ জানুয়ারি সই সমঝোতায় ঠিক হয় স্বচ্ছ ভারত মিশনের জন্য দেওয়া হবে অর্থ। পরিশ্রুত পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার তৈরিতে ব্যবহার হবে অর্থ। কিন্তু টাকা দেওয়া হবে দুটি ‘অলাভজনক সংস্থা’-কে। তার একটি ‘ওয়াটার স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ইনস্টিটিউট’। অপরটি কেপিএমজি-কে। বলা হয়, এই দুই সংস্থা ‘প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় আবাসন ও পৌর বিষয়ক মন্ত্রককে’। উত্তর প্রদেশ জল নিগম উইএসএইড’র এবং কেপিএমজি-র সঙ্গে যৌথভাবে পানীয় জল বিষয়ক আলোচনাচক্র সংগঠিত করে লক্ষ্ণৌয়ে। ২০২৪’র ১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল এই কনক্লেভ। সোশাল মিডিয়া ‘লিঙ্কডইন’-র প্রোফাইল থেকে এই তথ্য পোস্টও করেন আয়োজকরা। 
বিদেশ মন্ত্রকের পোস্টেও মিলছে এমনই সহায়তার তথ্য। ২০১৯-র ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হয়েছিল ভারত-আফগানিস্তান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চক্র। সেখানেও সহযোগী ছিল ইউএসএইড। 
সৌরবিদ্যুৎ থেকে জলবিদ্যুতের মতো পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুতের জন্যও হয়েছে দ্বিপাক্ষিক কাজ। আধুনিক প্রযুক্তি সহায়তা আমেরিকার এই বিভাগ থেকে নেওয়ার কথাও হয়েছে। 
ভারতে যদিও ইউএসএইড’র সহায়তা সময়ের সঙ্গে অনেক কমেছে। গত এক দশকে ভারতে ইউএসএইড’র সহায়তা বিশ্বে মোটের ০.২ শতাংশ থেকে ০.৪ শতাংশে থেকেছে। 
আমেরিকার এই বিভাগের অর্থ অনুদান বলা হলেও লুকানো শর্ত থাকে। সে কারণে বহু দেশই চুক্তি বাতিল করে। নির্বাচনে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপের অন্যতম মাধ্যম এই বিভাগ। সিপিআই(এম) ইউএসএইড’র অর্থে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যবহারের বিরোধী বরাবর।

Comments :0

Login to leave a comment