টানা চলছে বোমাবর্ষণ। এবার গাজা ভূখণ্ড দখল করতে সেনা পাঠালো ইজরায়েল। গত দুই দিনের মতো শুক্রবারও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। সঙ্গে চলছে সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযান এবং নির্বিচারে গণহত্যা।
সংঘর্ষবিরতিতে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও সমস্ত বাহিনী সরায়নি তাঁরা। চালিয়েছে একপেশে আক্রমণ। তার প্রতিবাদেই বন্দিবিনিময় বন্ধ করে গাজার প্রতিরোধী বাহিনী হামাস। এরপরই মঙ্গলবার থেকে নতুন পর্বে শুরু হয়েছে ইজরায়েলের গণহত্যা। মদত দিচ্ছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ করে দখল করার লক্ষ্য জানিয়েছেন সরাসরি। সেই লক্ষ্যেই চলছে হামলা।
এবার প্রত্যুত্তরও দিচ্ছে হামাস। এই পর্বে যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর প্রথমবার ইজরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে এই প্রতিরোধী বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার সারা রাতভর গাজার উত্তর ও দক্ষিণে হামলা চালায় সেনা বাহিনী। হামলায় কমপক্ষে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক নবজাতকও। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। এই পর্বে ২০০’র বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে গাজায়। নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
গাজায় আক্রমণের অংশ হিসেবে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ক্যান্সার রোগীদের জন্য হাসপাতালটি ধ্বংস করেছে। জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর ১০,০০০ রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রদান করা হত।
গাজায় নির্বিচারে আক্রমণের বিরুদ্ধে পথে নামছে গোটা বিশ্ব। প্রতিবাদ হচ্ছে বিভিন্ন শহরে। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় আমেরিকার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কলকাতার রাজপথ। বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই ডিওয়াইএফআই কলকাতার মার্কিন সদর দপ্তরের সামনে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
Comments :0