UDDHAV THACKREY ON AJIT PAWAR

‘চোকসি, মালিয়াদের আর নিতে বাকি বিজেপি’র!’ অজিত বিতর্কে উদ্ধব

জাতীয়

UDDHAV THACKREY ON AJIT PAWAR

নৈতিকতা বা দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি’র মুখ না খোলাই ভাল। এমনকি ডাকাতি নিয়েও কথা বলা উচিত নয় নরেন্দ্র মোদীর দলের। এর পর দলে ঢোকা বাকি কেবল মেহুল চোকসি, নীরব মোদী আর বিজয় মালিয়ার!

মহারাষ্ট্রে এনসিপি ভাঙানোয় বিজেপি’কে এমন কড়া ভাষাতেই আক্রমণ শানালো উদ্ধ থ্যাকারের এনসিপি। দল ভাঙিয়ে এনসিপি’র অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী আসনে বসিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে ভাঙানো হয়েছিল শিবসেনা থেকেই। 

চোকসি, নীরব মোদী এবং মালিয়া- তিনজনই দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে। তিনজনের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ। ‘সামনা’ বলেছে, ‘‘একজনকে দেশের কোষাধ্যক্ষ, আর বাকি দু’জনকে নীতি আয়োগের প্রধান এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর করবে সরকার।’’

অজিত পাওয়ারের সম্পত্তি নিয়েও সক্রিয় ছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ভয় দেখিয়েই এনসিপি ছেড়ে বিজেপি জোটে যেতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। 

শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয় নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ‘‘মহারাষ্ট্রে যেভাবে সরকার গড়ল বিজেপি, তাতে প্রতিদিন নিজেদের হাস্যকর করছে।’’ মহারাষ্ট্রে এখন শিন্ডে সরকারে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী- বিজেপি’র দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং ভেঙে বেরনো এনসিপি’র অজিত পাওয়ার। ব্যঙ্গ ছুঁড়ে সম্পাদকীয় লিখেছে, ‘‘মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সিনেমা হলে তার নাম হবে ‘এক (সন্দেহভাজন) পূর্ণ, দুই অর্ধেক’।’’

মহারাষ্ট্রে ফের দল ভাঙানোর খেলা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক গড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের আঙিনায়। এর আগে শিবসেনা ঘিরে একনাথ শিন্ডে বনাম উদ্ধব থ্যাকারের বিতর্কের মতো এবারও লড়াই পৌঁছতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। কারণ শিন্ডের মতোই পাওয়ার ঘোষণা করেছেন এনসিপি’র কর্তৃত্ব তাঁরই হাতে। বিধায়ক এবং সাংসদদের সিংহভাগ রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। ফলে দলের নাম এবং প্রতীক তাঁরই প্রাপ্য। পাওয়ারের অনুগামীরা আবার ঘোষণা করেছেন গত ৩০ জুন নাকি দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছিল পাওয়ারকেই। 

‘সামনা’-র সম্পাদকীয় এ প্রসঙ্গেই লিখেছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল যে কেবল সংসদীয় আসনে প্রভাব কোন পক্ষের বেশি তা বিচার্য নয়। কেবল বিধায়ক বা সাংসদের সংখ্যার জটে কোনও পক্ষ দলের প্রতীকের দাবিদার হতে পারে না।’’ 

অজিত পাওয়ার আর তাঁর কাকা এবং এনসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা শারদ পাওয়ারের কথার লড়াই হয়েছে বুধবারও। শারদ পাওয়ার বলেছেন, ‘‘মনে রাখা ভালো বিজেপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।’’ আর ভাইপো অজিত পালটা বলেছেন, ‘‘চাকরিজীবনে কাজের মেয়াদ ৬০ বছর। রাজনৈতিক জীবন বিজেপি’র ক্ষেত্রে ৭৫ বছর। শারদ পাওয়ারের উচিত ৮৩ বছরে আর রাজনীতি না করা।’’ 

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী নেতার পদ ছাড়েন অজিত পাওয়ার। কিছু পরেই বিজেপি-শিবসেনা(শিন্ডে) জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এদিন অজিত পাওয়ারের ডাকে হাজির হন শিবসেনার প্রতীকে জয়ী ৫৩ বিধায়কের মধ্যে ২৯ জন। শারদ পাওয়ারের বৈঠকে অংশ নেন ১৭ জন। 

ছবি: কংগ্রেস নেতা বিজয় থোট্টাথিলের পোস্ট। ডানদিকে লালচিহ্নে হাসান মুশ্রিফ। এনসিপি’র এই বিধায়ক অজিত পাওয়ারের সঙ্গে যোগ দেন বিজেপি জোটে। তাঁর বিরুদ্ধে মার্চ ও এপ্রিলে ইডি তল্লাশি হয়। জুনে দায়ের হয় চার্জশিট। প্রশ্ন, এবার কী চার্জশিট থেকে নাম মুছে নেবে বিজেপি?

Comments :0

Login to leave a comment