বিরোধী দলগুলির বৈঠকের উদ্যোগকে গঠনমূলক আখ্যা দিলেন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। শুক্রবার পাটনায় এই বৈঠকে যোগ দেবে বিরোধী প্রায় পনেরোটি দল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জনতা দল (ইউ) নেতা নীতীশ কুমার এই বৈঠকের আহ্বান করেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে, দলের নেতা রাহুল গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপ’র অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্তরী ভগওয়ান্ত মান, তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনও অংশ নেবেন বৈঠকে।
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদব যোগ দিলেও বিএসপি নেত্রী মায়াবতী আসছেন না পাটনায়। তিনি আমন্ত্রিত নন বলে জানা গিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার নিজের গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব থ্যাকারে ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি যোগ দিচ্ছেন। বৈঠকে আমন্ত্রিত সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআই(এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
কোনও মুখকে নেতা বা নেত্রী হিসেবে তুলে না ধরার কৌশল নিয়েই চলছেন বিরোধীরা। এই অবস্থানে বারবার জোর দিয়েছে বামপন্থীরা। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে ঐকমত্য গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন। সংবিধান অমান্য করা এবং সংসদ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার বিপক্ষে অভিন্ন অবস্থান গড়ার লক্ষ্য জানিয়েছে সিপিআই(এম)। কর্পোরেট মুখে অর্থনীতিতে শ্রমজীবী তীব্র শোষণের বিকল্প নীতির রূপরেখা তৈরির ওপর জোর দিয়েছে বিরোধী দলগুলির একাধিক মতবিনিময় বৈঠকে।
আম আদমি পার্টি শর্ত দিয়েছে, বৈঠকে কংগ্রেসকে জানাতে হবে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স বিরোধী অবস্থান। বা হলে বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খারিজ করতে ওই অর্ডিন্যান্স আনে কেন্দ্র। দিল্লির রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের বদলি বা দায়িত্ব বন্টনে রাজ্যের সরকারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আপ চাইছে রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলি এই অর্ডিন্যান্সের বিপক্ষে দাঁড়াক।
বৃহস্পতিবারই পাটনায় পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী রাবরি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদবও।
তবে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে মমতা ব্যানার্জির সরকারের ভূমিকা বিরোধী ঐক্যের পক্ষে কতটা সহায়ক, সে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি’র কায়দায় বিরোধীশূন্য রাজ্য চালানোর চেষ্টা বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্বের নীতি নজরে রয়েছে পর্যবেক্ষক মহলের।
Comments :0