Panchayat Elections violence

উত্তর দিনাজপুরে সংঘর্ষ, একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

রাজ্য পঞ্চায়েত ২০২৩

Panchayat Elections violence

পঞ্চায়েত ভোটক কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা গোটা রাজ্যে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের পর থেকে। অশান্তি, হামলা, হুমকি সহ একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনের দিনও অশান্তি অব্যআহ। ফের মৃত্যুর খবর সামনে এল। এবার হেমতাবাদে। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে তৃণমূল কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃত্যের নাম নারায়ণ সরকার। বুথ থেকে ১০০ মিটার দূরে মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বিজেপি শিবির তাকে নিজের লোক বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এই নিয়ে ভোট গ্রহণের দিন ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরের গোয়ালপুকুর থানা এলাকার গোয়ালপুকুর দুই ব্লকের নয়াহাটে। জানা গেছে ভোট গ্রহণ চলাকালীন তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহত একজনের নাম জমিরউদ্দিন(৬০)। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের বাড়ি সাহাপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগীর বস্তি এলাকায়।

 


স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর পরে গোয়ালপুকুর থানার নয়া হাট এলাকায় বুথ দখলের চেষ্টা করে তৃণমূল। তাতে বাঁধা দেয় কংগ্রেসের কর্মীরা। তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অভিযোগ এরপর দুই দলই হামলা চালায় একে অপরের উপরে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় জমির উদ্দিনের।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ইসলামপুর মহাকুমা হাসপাতালে মর্গে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য সেখানে আরও একটি মরদেহের মাথার খুলি সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু সে দেহটি পুলিশ উদ্ধার করতে পারে নি। যদিও পুলিশ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানায়নি। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে জানা গেছে। মৃত জমির উদ্দিন কংগ্রেস সমর্থক ছিলেন। নয়াহাট এলাকায় মৃত অপর ব্যক্তির নাম শামসুল হক(২৫)। সে তৃণমূল কংগ্রসের সমর্থক। 


 

ভোটের লাইনে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে মালদহের রতুয়ায়। স্থানীয়রা জানান বুথ দখলের চেষ্টায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তৃণমূলের সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে দেয় বাম-কংগ্রেসর সমর্থকরা। ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

 


এদিন দুপুরে বোমাবাজি হয় ডোমকলের রাধাকান্তপুরের ৯ নম্বর বুথে। সামশেরগঞ্জের ৪ নম্বর জেলাপরিষদের কংগ্রেস প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তৃণমূলের ছাপ্পা ভোট দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মানুষ। ঘটনা বাঁকুড়ার খাতড়ার সুপুর পঞ্চায়েতের ৯০ নম্বর ভেদুয়ারা বুথে। ঘটনায় সিপিআই(এম)'র ১০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।


কালিয়াচকের নওদায় গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী রাহুল শেখ। অভিযোগ ৭৮ নম্বর বুথে বকুল শেখের ভাইরা গুলি চালিয়েছে।
ভোট শুরু হতেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স লুটের অভিযোগ উঠে কালিয়াচকে৷ প্রতিবাদে কালিয়াচক-মোথাবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বাম-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা৷ শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে এখনও চলছে অবরোধ৷

 ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের সিলামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহালদার পাড়ার ৩ নম্বর বুথে৷ 

অভিযোগ, এদিন ভোট শুরুর পরেই বাবুলাল মহালদার নামে তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা দলবল এনে ওই বুথের প্রতিটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়৷ এই ঘটনার কথা চাউর হতেই কংগ্রেস ও বামেদের কর্মী-সমর্থকরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে৷

Comments :0

Login to leave a comment