জলপাইগুড়ি জেলার ভোট পরবর্তী হিংসায় বিধ্বস্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল ফুলবাড়ি সংলগ্ন সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৮/১২১ জুম্মাগছ বুথের সন্ত্রস্ত এলাকা ঘরছাড়াদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ। রাজগঞ্জের জুম্মাগছের নির্যাতিতদের সাহস যোগাতে তাদের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতৃবৃন্দ।
জুম্মাগছের বামপন্থীদের অনেক বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় ১০০টির উপরে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী এলাকার প্রবীণ নাগরিক ৭৪ বছর বয়স্ক এমডি সমিজউদ্দিন জানান, ‘‘ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারেন তারা এলাকার মানুষের ভোটে পরাজিত হতে চলেছে। এরপর থেকেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সন্ত্রাস। তৃণমূলের নেতারা বলেন ভোট বাক্স পানিতে ফেলে দিতে। ভোট শেষের আগেই ব্যালট বক্স লুঠ করে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে। ভোটের সময় পার হতেই শুরু হয় বাড়ি বাড়ি ভাঙচুর আক্রমণের ঘটনা, ধারালো তলোয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় সিপিআই(এম) কর্মীদের। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ভোটের দিন। এলাকার এক শিশুকে ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার অভিভাবকদের বাড়ি ফিরলে প্রাণে মারার শাসানি দেয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। পুনর্নির্বাচন হয় এই এলাকায়। তার ১৪ দিন পরও এখন অনেকে ঘরছাড়া।’’
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজগঞ্জের জুম্মাগছ, গিরানগছ ও পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়াচরি এলাকার নির্যাতিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ। সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য ছাড়াও ছিলেন জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য মোক্তাল হোসেন, জেলা নেতৃত্ব স্নেহাংশু লাহিড়ী, মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা রিনা সরকার,এই আসনের এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী পার্টি নেতা অমূল্য রায়, এরিয়া কমিটির সম্পাদক রতন রায়, পার্টি নেতা অশোক রায়, সন্ন্যাসী কাটা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শওকত আলি সহ অন্যান্য পার্টি নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দের তরফে আক্রান্ত পরিবার গুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়।
সিপিআইএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, জুম্মাগছ বুথে নির্মম সন্ত্রাস চালিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রায় ২০ টি বাইক পুকুরে ফেলে দিয়েছে। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনেই স্থানীয়রা পুকুর থেকে একটি বাইক টেনে তোলেন। শাসক দলের গুন্ডাবাহিনীর আক্রমণে অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। আতঙ্কে এখনো শতাধিক মানুষ ঘরছাড়া।
Comments :0