MANIPUR CPI(M)

মণিপুরের হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন: প্রশ্ন তুলল সিপিআই(এম)

জাতীয়

ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে।

আরামবাই টেঙ্গল, মেইতেই লীপুনের মতো মেইতেই জনগোষ্ঠী ভিত্তিক উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি সক্রিয় হিংসায়। কুকিদের বহিরাগত আখ্যা দিচ্ছে তারা। এই গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে বিজেপি এবং আরএসএস। বিজেপি’র দ্বিচারিতা স্পষ্ট ধরা পড়ে কুকি সশস্ত্র উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির প্রতি মনোভাবে। নির্বাচনে এই গোষ্ঠীগুলির মদত নিয়েছিল বিজেপি। 

জ্বলতে থাকা মণিপুর প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সাপ্তাহিক মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্র্যাসি’-র সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে। রবিবার প্রকাশ করা হবে এই সংখ্যা। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে মণিপুরের দুই জনগোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণে হিংসা উত্তর পূর্বে বিজেপি’র বিভেদনীতির প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন, সম্পাদকীয়তে তোলা হয়েছে সে প্রশ্নও। বলা হয়েছে, প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত রাজনৈতিক এবং তা হলো বীরেন সিং সরকারকে হটানো।

  

৩ মে থেকে অবিরাম হিংসায় দীর্ণ মণিপুর। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ২০১৭’তে সরকারে বিজেপি আসীন হওয়ার পর থেকে আরএসএস মেইতেইদের হিন্দু শক্তি হিসেবে সংগঠিত করার কাজ চালিয়েছে। যার লক্ষ্য ছিল খ্রীস্টান কুকিদের বিরুদ্ধে এই শক্তিকে ব্যবহার করে বিভেদের পরিবেশ গড়ে তোলা। সম্পাদকীয় মনে করেছে চার মাস আগে উত্তর পূর্বে ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন খ্রীস্টানরা বিজেপি’কে গ্রহণ করে নিচ্ছে। 

সম্পাদকীয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা সবচেয়ে গভীর প্রশ্ন তৈরি করছে। কোনও কথাই বলেননি, এমনকি শান্তি এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও আবেদনও করেননি। তিনটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল, দু’টি রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের এবং একটি মণিপুরের বিরোধী দলগুলির, দেখা করতে চেয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পায়নি। তাঁরা কেবল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আচরণে দায়বদ্ধতার চিহ্নও নেই। তাতে মণিপুরে সব অংশের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।  

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মণিপুর সফরে যান গত ২৯ মে। হিংসা শুরু হওয়ার ২৬ দিন পর। তাঁর সফর যদিও নিষ্ফলা। কারণ হিংসা থামছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সরকারের কড়া সমালোচনাও করেছে পিপলস ডেমোক্র্যাসির সম্পাদকীয়। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কুকিদের উচ্ছেদ, গাঁজার চাষ বন্ধের নামে একতরফা দমননীতি কুকিদের আরও বিচ্ছিন্ন করেছে। 

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহের মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েই ২৪ জুন সর্বদলীয় সভা ডেকেছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক দেরিতে হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু তারও মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। প্রয়োজন শান্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া। সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পঞ্চাশ দিন পর এই বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। কংগ্রেস নেত্রী মণিপুরের সব অংশের কাছে শান্তি ও মৈত্রীর বার্তা দেওয়ার পর কেন্দ্র নড়েচড়ে বসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও।  

বুধবার ভিডিও বার্তায় সোনিয়া গান্ধী মণিপুরের সব অংশকে শান্তিরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়ে বার্তা দেন।    

Comments :0

Login to leave a comment