চলতি সপ্তাহেই রামলীলা ময়দানে আছড়ে পড়েছে কৃষক বিক্ষোভ। দাবি উঠেছে ফসলের দাম নিশ্চিত করার আইনের। দাবি উঠেছে ঋণ মকুবেরও। বিক্ষোভে ভয় পেয়েছে আরএএস।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস বলছে, ‘‘কৃষক বিক্ষোভের নামে ফের দেশময় অরাজকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ বলা হয়েছে, ‘‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদ ফের মাথা তুলছে পাঞ্জাবে। লোকসভা নির্বাচনের মাত্র দু’মাস আগে কৃষক বিক্ষোভের নামে, বিশেষ করে পাঞ্জাবে, অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।’’
বিজেপি’র ভিত্তি সংগঠন সাম্প্রদায়িক আরএসএস’র বার্ষিক অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা চলছে নাগপুরে। মহারাষ্ট্রের এই শহরেই প্রধান কেন্দ্র আরএসএস’র। বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকে ১৪ মার্চ রামলীলা ময়দানে হয়েছে বিশাল সমাবেশ। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় কৃষকদের আরেকটি অংশ দিল্লি অভিমুখে রওনা হলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে, চালিয়েছে গুলি। হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক কৃষক। হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় কিসান মহাপঞ্চায়েতে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গিয়েছে।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে সূক্ষ্ম বিভাজনের কৌশল গুলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আরএসএস। বিকল্প কৌশলও তৈরি হবে নাগপুরে জাতীয় স্তরের বৈঠক থেকে।
সন্দেশখালির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ‘মা বোনদের ওপর অত্যাচারে সমাজের বিবেক নড়ে উঠেছে’- বলেছেন দত্তাত্রেয়। মণিপুরে দুই কুকি এবং মেইতেই মধ্যে অবিশ্বাসের সম্পর্ক গভীর ক্ষত তৈরি করেছে, বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে মণিপুর থেকে উত্তর প্রদেশের হাথরসে মহিলাদের ওপর নির্যাতন এবং নিপীড়কদের ছাড় পাোবার একের পর এক ঘটনায় নীরব আরএসএস।
Comments :0