আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসকে সত্যি করেই বুধবুবার দুপুর থেকে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় শুরু হল স্বস্তির বৃষ্টি। এখন শুধু অপেক্ষা দক্ষিণবঙ্গে কখন নামবে বৃষ্টি। তীব্র গরমে নাঝেহাল অবস্থা মানুষের। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৩ ডিগ্রির মধ্যে। তীব্র এই হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যেই জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। বাঁকুড়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠল বুধবার। এদিন দুপুর ১২টায় বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪৬ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর এর অনুভব ছিল ৪৮ডিগ্রি। যা গত কয়েকদশক ধরে দেখা যায়নি। এপ্রিল মাসের এই সময়ে গত দশ বছর ধরে তাপমাত্রা ৪২এর বেশি কোনদিন ওঠেনি। এবার এক সপ্তাহ ধরে ৪২— ৪৩ ডিগ্রিতে থেকে বুধবার তা এক ধাপে ৩ডিগ্রি বেড়ে গেল। এদিন বর্ননাতীত যন্ত্রনায় ছটপট করেছেন ছটপট করেছেন বাঁকুড়ার মানুষজন।
জেলার প্রায় প্রতি প্রান্তেই জলের স্তর কমে গেছে। বাঁকুড়ার দারকেশ্বর নদীতে জল নেই। গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রতীক্ষা মানুষ। দক্ষিণবঙ্গ যখন তাপে তপ্ত ,আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে তখন উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় শুরু হলো বৃষ্টি। বৃষ্টি হলো দার্জিলিং কালিম্পং-এর বেশ কিছু এলাকায়। এদিন স্বস্তির শীলাবৃষ্টি হয় শিলিগুড়ির শালুগাড়া এলাকায়। বৃষ্টি হয় মালবাজার,ওদলাবাড়ি সহ আশে পাশের এলাকায়।
বৃষ্টির সঙ্গ ছিল ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির জেরে এলাকায় এখন খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে উত্তরের শিলিগুড়ি, মালবাজার সহ বেশ কিছু এলাকায়। বৃষ্টি শুরু হতেই রাস্তায় বেরিয়ে অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। এদিন বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টির আগমনে গরমের হাত থেকে কিছুটা নিষ্কৃতি পেল উত্তরবঙ্গের মানুষজন। এদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে মালবাজার ওদলাবাড়ি সহ আশে পাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টির ফলে স্বস্তি নেমে আসে। কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের ঝালং থানার অধীন বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির ফলে মানুষের মানে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গেল। পর্যটন ব্যবসায় গতি পেল।
Comments :0