বিহারে পরপর সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি’র জনসভায় হাজির করছেন নতুন প্রতিশ্রুতি। কিন্তু পুরনো প্রতিশ্রুতির কী হলো। মঙ্গলবার মোদীর জনসভা ঘিরে এমনই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ মনে করিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া পুরনো প্রতিশ্রুতির সমাহার। তিনি বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রে দশ বছর সরকারে বিজেপি। রাজ্যে এই পর্বের বেশিরভাগ সময় জোট করে সরকারে থেকেছে বিজেপি। কিন্তু প্রতিশ্রুতির কী হলো।’’
২০১৫‘তে বিধানসভা ভোটে মোদী প্রচারে বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গে জেডি(ইউ) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিভিন্ন সময়ে সরবারও করেছেন। কিন্তু বিহারকে এমন কোনও মর্যাদা দেওয়া হয়নি এখনও।
রমেশ বলেছেন, ‘‘নীতী আয়োগের সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে বহুমুখী দারিদ্র সূচকে বহার দেশে সবার পিছনে। রাজ্যের ৫২ শতাংশ বাসিন্দার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার তা’হলে কী করল। আর্থিক অনগ্রসরতা সত্ত্বেও বিশেষ মর্যাদা মিলছে না কেন।’’
পূর্ণিয়ায় বিমানবন্দরের ঘোষণাও করেছিলেন মোদী। রমেশ মনে করিয়েছেন সেই ভাষণও। মুজফফরপুরেও ২০২৩’র মধ্যে বিমানবন্দর চালু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিহারে মোট তিনটি নতুন বিমানবন্দরের প্রতিশ্রুতি থাকলেও হয়নি। রমেশেরর মন্তব্য, ‘‘যে সরকার নিয়মিত দাবি করে চলেছে যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে তাক লাগানো কাজ হয়েছে, তারা বিমানবন্দর নিয়ে চুপ কেন।’’
কংগ্রেস তুলেছে কোশির বন্যা প্রসঙ্গও। দলের অভিযোগ, নদীর পার রক্ষার নামে দুর্নীতি চলছে। যে মরসুমে ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছে বৃষ্টি এলেই তা ভেসে যাচ্ছে। ঠিকাদারদের লাভ হচ্ছে। তার বিনিময়ে বিজেপি কাটমানি তুলছে।
এদিন গয়ায় জনসভায় মোদী আরজেডি’র নির্বাচনী প্রতীক নিয়েও ব্যঙ্গ করেছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘লন্ঠন দিয়ে কী মোবাইল রিচার্জ করা যায়?’’ আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব পালটা মন্তব্যে বলেছেন, ‘‘পদ্ম দিয়েও তো মোবাইল রিচার্জ করা যায় না। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি আর ঘৃণার রাজনীতির অন্ধকারে পত দেখাতে পারে লন্ঠন।’’
Comments :0