২৯ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিপিআই(এম)-এর ডাকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে প্রবেশ করবে কর্মসূচি। সেদিন ধুপগুড়ি ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি শহর ঘুরে গোশালা মোড়,ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান পেরিয়ে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত পরিক্রমা শেষে পাহাড়পুর কালিয়াগঞ্জের মাঠে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জনসভায় উপস্থিত থাকবেন মীনাক্ষী মুখার্জী, মঃ সেলিম, আভাস রায় চৌধুরী, জিয়াউল আলমসহ রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতৃত্ব। এরপর রাজগঞ্জ হয়ে দার্জিলিং জেলার অভিমুখে যাবে এই যাত্রা।
দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা চা শিল্প পুনরুজ্জীবন, রোজগার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সার্বিক উন্নয়ন, শ্রমিক-কৃষকদের ন্যায্য মূল্য, শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি রোধ, বাংলার মহিলা ও কন্যাদের নিরাপত্তা, নদী-জলাশয়-জমি রক্ষার মতো বিভিন্ন দাবি সামনে রেখে এই ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। দাবিগুলি তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার। চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চলে, হাট-বাজারে, গ্রামাঞ্চলে ও শহর-সংলগ্ন এলাকায় নানা কর্মসূচি চলছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ডেঙ্গুয়াঝাড় হাটে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা।
সভায় বক্তাদের অভিযোগ শিল্পে অব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার অবনতির ফলে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ছে। চা শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না, কৃষকরা ফসলের দাম নিয়ে বঞ্চিত—এই পরিস্থিতিতে বাংলাকে বাঁচাতে গণঅভিযানই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র উপায় বলে মত নেতৃবৃন্দের।এদিন সভায় বক্তব্য রাখেন তপন গাঙ্গুলী, শুভাশিস সরকার, আজম আলী আব্বাস, প্রফুল্লা লাকরা, সানন্দা সরকার প্রমুখরা।
পথসভা চলাকালীন হাটে আসা ছোট ব্যবসায়ী, কৃষক ও ক্রেতাদের কাছে বাংলা বাঁচাও যাত্রার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয় এবং জনসমর্থন ও অর্থসংগ্রহও হয়। নেতৃত্বের দাবি, মানুষ এই কর্মসূচিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করছেন। নেতৃত্ব জানিয়েছেন—বাংলার সংকট থেকে মুক্তি পেতে এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটাতে রাজ্যজুড়ে বাংলা বাঁচাও যাত্রাকে সফল করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
Comments :0