নিয়ম লঙ্ঘনকারী জামিনে মুক্ত স্কুল শিক্ষকের বরখাস্তের দাবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি দিলো ছাত্ররা। এসএফআই দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের সহ শিক্ষক পঙ্কজ বর্মন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের ঘটনায় জড়িত। এই অভিযোগে আইন মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। দীর্ঘ দুই সপ্তাহের বেশী সময় অভিযুক্ত শিক্ষক পঙ্কজ বর্মন কালান্তরে ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ফের ওই স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য চাকরি পাইয়ে দেবার নাম করে ১৭লক্ষ টাকা নেবার পরেও ধৃত স্কুল শিক্ষক চাকরি দেয়নি। অভিযোগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় শিলিগুড়ি বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের সহ শিক্ষক পঙ্কজ বর্মনকে। পুলিস ও জেল হেফাজত মিলিয়ে ১৫দিন কালান্তরে কাটানোর পর গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি মেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের। এরপরেই স্কুলে গিয়ে হাজিরা দেন ও চাকরিতে যোগদান করে পড়ুয়াদের ক্লাসও নেয় ওই শিক্ষক। এই খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে কার নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত শিক্ষক চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তা নিয়ে। এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে এদিন এসএফআই দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক অঙ্কিত দে বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিধি অনুযায়ী কোন শিক্ষক ৪৮ঘন্টার বেশী সময় কালান্তরে থাকলে প্রাথমিকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু স্কুলের একজন সহ শিক্ষকের নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার। এই বিষয়টি সম্পূর্নভাবে আইন বিরুদ্ধ ও নীতি বহির্ভূত। অবিলম্বে গোটা বিষয়টিতে আইন মোতাবেক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েই বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য গোটা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশ মেনেই কাজ করা হবে। এদিনের কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুরজ কুন্ডু, সুকন্যা চতুর্বেদী প্রমুখ।
Comments :0