SKM JALANDHAR

জলন্ধরে জাতীয় সম্মেলন সংযুক্ত কিসান মোর্চার

জাতীয়

ছবি সারা ভারত কৃষক সভার পোস্ট থেকে।

সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশের পাঁচশো জেলায় মিছিল করবেন কৃষকরা। ফসলের দামে নিশ্চয়তার আইনের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরালো হবে। তারই প্রস্তুতিতে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জাতীয় স্তরের সম্মেলন করল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। 

সারা ভারত কৃষকসভার মতো দেশের শতাধিক কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা। এই মোর্চার ডাকেই বছরভর দিল্লিতে বসে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিল করেন। 

মোর্চার নেতারা বলেছেন, ২০২১’র ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রের লিখিত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। ৭৩৫ জন শহীদ হয়েছেন আন্দোলনে। প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছিল স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ফসলের ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করতে কমিটি হবে। তার জন্য আইন হবে। অথচ আইন তৈরির প্রয়াসই নেই। 

স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কৃষকের সব ধরনের খরচের সঙ্গে তার ৫০ শতাংশ যোগ করে ফসলের দাম ঠিক করার কথা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই সূত্র মেনেই ফসলের দাম ঠিক করা হচ্ছে বলে দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু মোর্চার অভিযোগ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক করার সময় কমিশন নির্দেশিত সব ধরনের খরচ হিসেবে রাখা হচ্ছে না। তার ওপর আইন না থাকায় ফসল সংগ্রহের অনেকটাই চলছে ফড়ে বা ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর ভরসায়। ঘোষিত সহায়ক মূল্যের অনেক কম দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। বাড়ছে ঋণগ্রস্ততা, আত্মহত্যা।

ক্ষোভ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়েও। গত জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরই স্বীকার করেছিলেন যে বিমা সংস্থাগুলি বিপুল লাগ করছে। সরকারের টাকা বিমার কিস্তি বাবদ ঢুকছে বিমা সংস্থার ঘরে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলে নামমাত্র অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাত বছরে মুনাফা করেছে এই সংস্থাগুলি। 

সাধারণতন্ত্র দিবসে দেশের পাঁচশো জেলার সদরে মিছিলের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। তার আগে সব রাজ্যের রাজধানীতে রাজভবন অভিযান করেছে মোর্চা। ঐক্যবদ্ধ কৃষক আন্দোলন প্রতিবাদ জানিয়েছে ধর্ম বা জাতের নামে ভেদাভেদের রাজনীতিতেও। একজোট থেকে দাবি ছিনিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।   

Comments :0

Login to leave a comment