TEACHER RECRUITMENT SCAM SALIM

চাকরি বাতিলের জন্য সরাসরি দায়ী মুখ্যমন্ত্রী: সেলিম

রাজ্য

সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্যের তালিকা দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই কারণেই হাইকোর্টের রায়ে যোগ্যদেরও চাকরি গিয়েছে। পুরো ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি দায়ী। 
সোমবার হাইকোর্টের রায়ে এই প্রক্রিয়া সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। তিনি বলেন, সেলিম বলেন, ‘‘ প্রায় ২৫ হাজারের চাকরি খারিজ হয়েছে। তাঁদের অনেকে যোগ্য, নিয়ম মেনেই চাকরি পেতে পারতেন। তাঁদের চাকরি গেল কেন? কারণ স্কুল সার্ভিস কমিশন সব দুর্নীতি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে। হাইকোর্টে যখন চাকরিপ্রার্থীরা গিয়েছেন, বামপন্থী আইনজীবীরা গিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি হাইকোর্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আদালত চাইলেও তালিকা দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘যোগ্যদেরও কেন টাকা ফেরত দিতে হবে। এই যে পার্থ চ্যাটার্জির বাড়ি থেকে বা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকা সরকার ফেরত দিক।’’
সেলিমের ব্যাখ্যা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানেন তালিকা দিলেই আদালতে দুর্নীতি ধরা পড়বে। কালীঘাটে বসে নিয়োগের ইন্ডাস্ট্রি ধরা পড়ে যাবে। গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছে নবান্ন থেকে এবং কালীঘাট থেকে। রূপায়িত করা হয়েছে তৃণমূলের দপ্তর থেকে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যোগ্যদেরও চাকরি গেল পিসি-ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘অযোগ্য যাদের চাকরি হয়েছিল তার দশগুন টাকা দিয়েও চাকরি পাননি। তাঁরা এফআইআর করুন। আমাদের জানান। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। এই টাকা আদায় করতে হবে।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘আজকের রায়ের প্রথম কথা হলো এসব মামলার সুযোগ নিয়ে নিয়োগ বন্ধ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বছরের পর বছর মাদ্রাসা এবং স্কুলে নিয়োগ করেননি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তো তুলেই দিয়েছেন। কেন নিয়োগ বন্ধ আছে? আজকের রায়ে প্রমাণ হয়েছে সরকার চায়নি বলে নিয়োগ হয়নি। কেন চায়নি? কারণ চাকরি নিলামের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে আদালতের নির্দেশে তদন্তের কারণে টাকা তোলা সমস্যার। তাই নিয়োগ বন্ধ করে রেখেছে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘এই রায় বহু প্রতীক্ষিত এবং সুদুরপ্রসারী। এই মুহূর্তে চাকরিপ্রার্থীরা হন্যে হয়ে ঘুরলেও চাকরি পাচ্ছে না। বেকারি সর্বোচ্চ। পুলিশ, সেনা এবং শিক্ষকতায় কিছু নিয়োগ হয়। সে সময়ে চাকরি বাতিল হয়েছে।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছে। টেট থেকে আপার প্রাইমারি, স্কুলে ৯-১২ ক্লাস, পিএসসি, মাদ্রাসা সর্বত্র দুর্নীতি। বামফ্রন্টের সময়ে বছর বছর চাকরি হতো, সেটা হচ্ছে না। বিশাল ইন্ডাস্ট্রি চাকরি নিলাম করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা স্তোক দিয়েছেন মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন। এমন কমিটি করেছেন যার  সদস্যরা এখন জেলে।’’

Comments :0

Login to leave a comment