Kota Fan Spring

আত্মহত্যা আটকাতে কোটায় সিলিং ফ্যানে স্প্রিং লাগাতে নির্দেশ

জাতীয়

Kota Fan Spring


সিলিং ফ্যানে স্প্রিং লাগিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মহত্যা আটকানো যাবে বলে মনে করছে কোটার প্রশাসন। সেই অনুযায়ী কোটার সমস্ত হস্টেল কর্তৃপক্ষকে ঘরে ঘরে ছাদে হুকের সঙ্গে স্প্রিং জুড়ে সেখান থেকে সিলিং ফ্যান লাগানোর নির্দেশ দিল স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করেছেন কোটার ডেপুটি কমিশনার ও পি বুনকার। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা না করা হলে সংশ্লিষ্ট হস্টেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে।
ডাক্তারি পাঠক্রমে ভর্তির পরীক্ষা নিট এবং আইআইটিতে ভর্তির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় গড়ে উঠেছে বিরাট সংখ্যক কোচিং সেন্টার। সারা দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ওই সব কোচিং সেন্টার ভর্তি হয়। তাদের থাকার জন্য এখানে তৈরি হয়েছে বড় সংখ্যায় হস্টেল বা গেস্ট হাউস।

 সেই সূত্রে গোটা দেশে কোচিং হাব বলেই পরিচিত কোটা। কিন্তু সমস্যা হলো, প্রতি বছরই পড়াশোনার তীব্র চাপে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী এখানে আত্মঘাতী হয়। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, উচ্চ আয়ের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইঁদুর-দৌড়ে ঠেলে দিয়ে মা-বাবারা সন্তানদের জীবনই আসলে কেড়ে নিচ্ছেন। গত বছর এখানে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী আত্মহত্যা করেছিল। প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার চাপ নিতে না পেরে এই বছর এখন পর্যন্ত ২০ জন পড়ুয়া নিজেদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। শুধু চলতি মাসেই প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মঘাতী হয়েছে চার জন। এই অবস্থায় পড়াশোনার নামে মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা না নিয়ে কোটার প্রশাসন আত্মহত্যা আটকাতে স্প্রিংয়ের সঙ্গে সিলিং ফ্যান লাগানোর দাওয়াই দিল। তা কোটায় পড়তে আসা পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমাতে পারবে কি না, সেই বিষয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা অনিশ্চিত। কোটার নিউ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ চন্দ্রশেখর সুশীল যেমন বলেছেন, এখানে পড়তে পাঠানোর আগে প্রত্যেক মা-বাবার নিজেদের সন্তানদের সক্ষমতা বুঝে নেওয়া উচিত। অধিকাংশ মা-বাবাই তা না করে শুধু কোটায় পড়ানোর জন্য অর্থের ব্যবস্থা করে এখানে সন্তানদের পাঠিয়ে দেন। এভাবে তাঁরা বিরাট প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেন সন্তানদের উপর। অনেকেই তা নিতে না পেরে জীবন শেষ করে দেয়। 

Comments :0

Login to leave a comment