ভাষা দিবস বাংলার মানুষের কাছে গর্বের ব্যাপার। এপার ওপার দু’পারেই। এমনকি বিশ্বের অন্যত্র বাঙালিদের কাছেও গর্বের। ধর্মের ভিত্তিতে না, ভাষার ভিত্তিতে দেশ, এই ভাষ্য গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের গর্বিত করে। দুই বাংলাতেই সেভাবে কর্মসূচি হতো, সীমান্ত এলাকায় কর্মসূচি হতো। এখন সময় বদলে গিয়েছে। বাংলাদেশে যেন বিদ্বেষের মনোভাব জাঁকিয়ে বসছে। বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় তারা এখন উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে বেশি আগ্রহী কিনা সে প্রশ্ন উঠছে।
বাংলাদেশ গড়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঙ্গে নিয়ে সেই চেতনাকেই নস্যাৎ করার চেষ্টা হচ্ছে। সেদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, আজও তারা সেই একই কাজ করছে।
বাংলাতেও যা চলছে এটা বাংলার স্বাভাবিক সংস্কৃতি নয়। রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, ইস্কনের মন্দির এসবই বিষয় হচ্ছে। পুজো নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। পুজো তো বাংলার মানুষ বরাবরই করে। তাকে রাজনীতির আদল যেভাবে দেওয়া হচ্ছে তা বিপজ্জনক।
নরেন্দ্র মোদী বাংলার বিষয়ে বেশি উৎসাহী। এনডিএ’র বৈঠকে বাংলায় হাতে হাত ধরে ঝাঁপানোর কথা বলেছেন। বাংলায় তো ওঁর এনডিএ’র পুরনো শরিক রয়েছে। সেই শরিক তৃণমূল যেমন বিজেপি-কে ভরসা করে তিনিও তৃণমূলের ওপর ভরসা করেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র পুরনো শরিক রয়েছে।
Sujan Chakraborty
ধর্ম নিয়ে রাজনীতিতে আক্রান্ত ভাষা দিবসের চেতনা, খেদ সুজন চক্রবর্তীর

×
Comments :0