‘‘রাজ্যের মানুষ বুঝছেন রাজনীতিকে নোংরামির জায়গায় নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। নির্বাচন মানে কি ভিডিও আর পালটা ভিডিও?’’
সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি’র রাজনীতিতে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন দেশের নীতি ঠিক করার লড়াই। দেশ কিভাবে চলবে, মানুষের কী হবে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা। সেসব বাদ দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি যা করছে তা খুবই বিপজ্জনক।’’
তৃণমূলের তরফে নতুন ভিডিও ছেড়ে দাবি করা হয়েছে যে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা টাকা পাঠানো, মোবাইল পাঠানো নিয়ে আলোচনা করছেন। রবিবারই সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ তৃণমূল বিধায়কের সামনেই দলের কর্মীদের ঘিরে ধরেন। মারও খায় তৃণমূলের কর্মীরা। মহিলাদের অভিযোগ এই কর্মীরাই ভিডিও করে বাজারে ছাড়ছে।
দমদম কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি’র একটাই ইস্যু, সন্দেশখালির ভিডিও এবং পালটা ভিডিও। আর তৃণমূলের একটাই ইস্যু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পাঁচশো টাকা করে দিয়েছি। ফলে চুপ থাকতে হবে। সরকারের তো কাজ দেওয়ার কথা রোজগার দেওয়ার কথা। কাজ দিলে পাঁচশো টাকা পাঁচবার করে নেওয়া যায়। একটা সাইকেল না পাঁচটা সাইকেল কিনে নেওয়ার যোগ্যতা আছে। আসল কথা হলো কাজ নেই। সেটাই এড়াচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপি।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জিনিসের দাম, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কাজ নিয়েই তো আলোচনা হওয়া উচিত। বিজেপি এবং তৃণমূলের নেতাদের পারস্পরিক অভিযোগ পালটা অভিযোগ চলছে। রাজনীতিতে এই নোংরামি বাংলা আগে দেখেনি।
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কাজ না দিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে যুবকদের। ঝুঁকি নিয়ে অসুরক্ষিত অবস্থায় কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মুখে কাজের কথা নেই। কেন্দ্রের নীতিতে ওষুধের দাম বাড়ছে। একেকটি পরিবার গত দু’বছরে কেবল ওষুধে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ বেড়ে গিয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সহ তৃণমূল নেতানেত্রীরা সর্বত্র প্রচার করছেন তাঁদের প্রার্থীদের ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। চক্রবর্তী মনে করিয়েছেন যে করোনা পরিস্থিতির পর আয়কর দেওয়ার মতো আয় নেই এমন সব পরিবারে মাসে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি তুলেছিল বামপন্থীরা। রাজ্য সরকারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবিতে তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন।
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোট যেন লেনদেনের বিষয়। জনতা গৌণ। আমি টাকা দিয়েছি অতএব আমাকে ভোট দাও- এমনই বলছে তৃণমূল আর বিজেপি। এই নির্বাচনে দু’দলই পরাস্ত হবে।’’
Comments :0