বিশ্বনাথ সিংহ: রায়গঞ্জ
রাহুলের এই ন্যায় যাত্রা ঘিরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া, ইসলামপুর এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্টই উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী না থাকলেও মমতা ব্যানার্জির কালই উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এবং ইসলামপুরে আসছেন। সোমবার কোচবিহারে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ জানুয়ারি এই জেলা থেকেই কংগ্রেসের কর্মসুচি শুরু হয়েছিল রাজ্যে।
বিহারের কিসানগঞ্জে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। চোপড়ার নলবাড়িতে বাত্রিবাস করে সোমবার সকালেই রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করে বিহারে। কিষানগঞ্জ থেকেই বিহারে শুরু হয়েছে ‘ন্যায় যাত্রা’র। কংগ্রেস জানিয়েছে, এরপর পূর্ণিয়া এবং আরারিয়া যাবে যাত্র। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ফের ঢুকবে ৩১ জানুয়ারি।
সোমবার ফের প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে। বারবারই ‘ভারত জোড়ে ন্যায় যাত্রা’-র পথে বাধা তৈরি করে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত প্রশাসন। মালদার রতুয়ায় সেচ দপ্তরের অতিথি নিবাসে রাহুল সহ যাত্রীদের মধ্যাহ্নভোজনের অনুমতিও বাতিল করে দেওয়া হয়। এখানে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য কংগ্রেস লিখিত আবেদন জানিয়েছিল।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সোশাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘‘এ কী হাল বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির। কারা যেন সৌজন্যের পাঠ দিচ্ছিলেন।’’
এদিনই অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস ‘অসুস্থ ভাষা’ এবং ‘কুৎসিৎ রাজনীতি’-র জন্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছে। রাহুলের সমালোচনা করতে গিয়ে ছাপার অযোগ্য শব্দ ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু। রায়গঞ্জ থানায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেওয়া এই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
রবিবার শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের আমন্ত্রণে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল যদিও নিজেদের বিজেপি বিরোধী দাবি করেও লাগাতার এই কর্মসূচিতে বাধা তৈরি করছে। কোচবিহারে বক্সিরহাটে সভার জায়গাও পালটাতে হয়েছে কংগ্রেসকে। বিজেপি শাসিত আসাম বা মণিপুরের মতো বাংলায় একইরকম বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
এদিন কিসানগঞ্জের আশফাক উল্লা স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। হিংসা বিভেদ ভুলে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
রাহুল বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র বিশেষ প্রভাব পড়বে। বিভেদ, হিংসা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বিজেপি। দল ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতেছে বিজেপি। ভালোবাসার মাধ্যমে হিংসাকে জয় করার জন্যই এই যাত্রা।”
Comments :0