ভারতেই আসছেন। তবে গোয়ার বহুপাক্ষিক বৈঠকে তাঁর যোগদানকে কেবল ভারত সফর আখ্যা দেওয়া অনুচিত। দেশের মধ্যে সওয়ালে এমনই যুক্তি দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
৪-৫ মে’তে গোয়ায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)’র বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন বিলওয়াল। এগারো বছর পর ভারতে আসছেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশ মন্ত্রী। ২০১১’তে ভারত সফরে এসেছিলেন সে সময়ের বিদেশ মন্ত্রী হিনা রব্বানি খার।
এসসিও’র উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের এবারের আয়োজক দেশ ভারত। বহুদেশীয় গোষ্ঠীর বিধি অনুযায়ী সরকারিভাবে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীনকেও। বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সঙ্গে যোগ দিতে আসছেন চীনের বিদেশ মন্ত্রী কুন গাঙ।
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘‘এই বৈঠক (ভারত এবং পাকিস্তান) দুই দেশের নয়। বহুপাক্ষিক সহযোগিতা সংস্থার। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে এসসিও’র এই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছে পাকিস্তান।’’
এসসিও এখন এশিয়া এবং ইউরোপের সংলগ্ন ভূখণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ বহুদেশীয় সমঝোতা মঞ্চ। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ চওড়া করার বহুপাক্ষিক মতবিনিময়ের জায়গা। এর আগে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও’র বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘‘এসসিও ঘোষণাপত্রের প্রতি দায়বদ্ধ পাকিস্তান। এই ভূখণ্ডে উন্নয়নের প্রশ্নটি পাকিস্তানের বিদেশনীতিতে অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। সেই দিক থেকেই বৈঠকে পাকিস্তানের যোগদান বিবেচিত হওয়া উচিত।’’
এসসিও সদস্য দেশগুলির অন্যতম ভারত। ইরান এই গোষ্ঠীর সহযোগী দেশ থেকে সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে সম্প্রতি। সদস্য, সহযোগী, অতিথি- বিভিন্ন স্তরে পঁচিশটি দেশ এসসিও’র সদস্য।
Comments :0