ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে সাসপেন্ড হলেও এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি রাজগঞ্জ থানার ‘মেজোবাবু’ সুব্রত গুনকে। অবিলম্বে এই পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি রাজগঞ্জ থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করে। ডেপুটেশন দেওয়া হয় রবিবার।
বিকেলে রাজগঞ্জ বাজারে মিছিল করে থানায় বিক্ষোভ সভা করা হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মহিলা নেত্রী মমতা রায়, রীনা সরকার, যুব নেতা শুভায়ু পাল, মমতাজ আলি, মহম্মদ হাসান, ছাত্র নেতা পাপাই মহম্মদ, সঞ্জু মিস্ত্রি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত গুন। তিনি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত। শুক্রবার রাতে এই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিলিগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা।
জানা গেছে, একটি মামলার তদন্তের নামে শুভশ্রীকে রাজগঞ্জে ডেকে নেন সুব্রত গুন। এরপর তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় তিনি শুক্রবার রাতেই শিলিগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই বিষয়ে সুব্রত গুনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন সুইচ অফ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে শিলিগুড়ি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল রাজগঞ্জ থানায় আসে বলে জানা গেছে।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মহিলা থানা জিরো এফআইআর দায়ের করে। মামলাটি জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় সুব্রত গুনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।তা র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার রাজগঞ্জ রাজগঞ্জ বাজার থেকে মিছিল করে থানায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র যুব মহিলারা। দাবি ওঠে, শুধু সাসপেন্ড করলেই হবে না অভিযুক্ত অফিসারকে গ্রেপ্তার করেই তদন্ত করতে হবে।
Rajganj Police Rape
ধর্ষণে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ রাজগঞ্জে
×
Comments :0