Truck Strike Petrol Pump

ট্রাক ধর্মঘটে নিস্পৃহ কেন্দ্র, দেশজুড়ে সংকট পেট্রোল পাম্পে

জাতীয়

শ্রীনগরের পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইন।

দ্বিতীয় দিনে পড়ল দেশজুড়ে ট্রাক চালকদের ধর্মঘট। তার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রল পাম্পে জোগান আটকে গিয়েছে। দেশের বহু এলাকায় পেট্রল পাম্পের সামনে বাইক এবং অন্য গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। 
মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের জরুরি হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। কেবল পেট্রোল ডিজেল নয়। সমস্যা শুরু হয়েছে রান্নার গ্যাস সরবরাহে। বহু জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার ট্রাক আসেনি। 
সংসদে সদ্য পাশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে ট্রাক চালকদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তায় দুর্ঘটনার পর পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চলে গেলে শাস্তির আওতা বাড়ছে। একজন ট্রাকচালকের ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করার সংস্থান রয়েছে আইনে। বহু ঘটনায় যদিও দেখা গিয়েছে চারচাকার বিলাসবহুল গাড়িতে দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনায় নিস্পৃহ থাকে প্রশাসন। ট্রাকচালকদের বিভিন্ন সংগঠন বলেছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শাস্তি দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে সাধারণ ট্রাক চালকদের। 
দিল্লি, মুম্বাই বা কলকাতার মতো বড় শহরে পেট্রোল পাম্পে সংকট এখনও খুব তীব্র নয়। কিন্তু জলন্ধর বা ভাটিন্ডার মতো শহরে অবস্থা চরমে পৌঁছেছে। পাঞ্জাবের পেট্রোল পাম্প ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সমিতির সদস্য অশ্বীন্দর মোঙ্গিয়া সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘’৩১ ডিসেম্বর থেকে সরবরাহ নেই বহু জায়গায়। সমস্যা তীব্র হয়েছে। ট্যাঙ্কার পৌঁছাচ্ছে না পেট্রোল পাম্পে।’’ 
মধ্য প্রদেশের জব্বলপুরের মতো বিভিন্ন শহরে পেট্রোল পাম্পে বাইক এবং দু’চাকার যানের লম্বা লাইন। হিমাচল প্রদেশেও জ্বালানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রীনগরেও অবস্থা একই। 
মঙ্গলবার কেন্দ্রের আইনের প্রতিবাদে জম্মুতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ট্রাকচালকরা। তাঁরা বলেছেন, কোনও ট্রাকচালক ইচ্ছে করে কাউকে ধাক্কা দেয় না। কিন্তু জনতার প্রহারের ভয়েই চাইলেও আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। সরকারের এই বিষয়টি বোঝা উচিত।

Comments :0

Login to leave a comment