VBU convocation cancelled

বিশ্বভারতীতে বাতিল সমাবর্তন অনুষ্ঠান

রাজ্য

লাগাতার ১৬ দিন ধরে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (VBU)। ছাত্রদের দাবি দাওয়া মেটাতে না পেরে ব্যর্থ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন (convocation)অনুষ্ঠান বাতিলের কথা ঘোষণা করেলেন বৃহষ্পতিবার। ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্যত গৃহবন্দী রয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পূর্বপল্লীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন পূর্বিতা থেকে ৬০ মিটার দূরে ধর্না মঞ্চ করে চলছে আন্দোলন৷ 
এদিন এসএফআই-এর রাজ্য সহ-সভাপতি দেবাঞ্জন দে-র নেতৃত্বে অন্যান্য ছাত্র নেতারা আসেন বিশ্ব ভারতীতে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের গেট টপকাতে যায় তারা৷ বাধা দেয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা৷ ফের পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষী ধস্তাধস্তি শুরু হয়। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীতে৷ 


এসএফআই-এর রাজ্য সহ-সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, "একজন উপাচার্য একাধিক বেআইনি গেট বসিয়ে রেখেছে। ওনার সঙ্গে দেখা করা যায় না৷ এই রকম একজন বেআইনি উপাচার্যের এখানে থাকার কোন প্রয়োজন নেই।"
প্রসঙ্গত গত ২৩ নভেম্বর বিশ্বভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সুনির্দিষ্ট দাবিদাওয়া নিয়ে উপাচার্যর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। গত পাঁচ বছরে উপাচার্যর একের পর এক স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধা চারন করে সাসপেন্ড হয়েছেন একাধিক অধ্যাপক,  কোপের মুখে পড়েছেন শিক্ষা কর্মী থেকে শিক্ষকরা। কারও বদলি হয়েছে, কারোর প্রাপ্য আটকে দেওয়া হয়েছে। শো-কজ তো রোজনামচায় পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যর কোপ থেকে বাদ যায়নি পড়ুয়ারাও। তাদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে শিক্ষাঙ্গন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক পড়ুয়াকে। যা ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পাহাড় জমেছে। \


এসএফআই (SFI)নেতা বিশ্বভারতীর অর্থনীতির ছাত্র সোমনাথ সৌ-এর পক্ষে আদালতের নির্দেশ থাকলেও তাঁকে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। মিনাক্ষী ভট্টাচার্য  নামে অপর ছাত্রীর পিএইচডি আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর আগে এক দুস্থ ছাত্রকে হোস্টেল ছাড়তে বাধ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়। গত পাঁচ বছর ধরে উপাচার্যর জোয়ারির বিরুদ্ধে বারবার গর্জে উঠেছে পড়ুয়ারা। এছাড়াও কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে হোস্টেল খোলা রাখা, অনলাইনে পরীক্ষা ব্যবস্থা, পরীক্ষা সূচী নিয়ে আপত্তি, লেকচার সিরিজের বিষয় নিয়ে বিতর্ক সহ একাধিক ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছে শান্তিনিকেতন। তারপরেও সুরাহা হয়নি সমস্যার। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যায় পড়ুয়ারা। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাদের দেখেই উপাচার্যর মেজাজ উগ্র হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা রক্ষী ও তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে ডেকে ছাত্রদের পেটানো নির্দেশ দেন উপাচার্য। তারপর থেকেই লাগাতার আন্দোলন চলছে বিশ্বভারতীতে।

Comments :0

Login to leave a comment