ব্যালট বাক্স আগুন দিয়ে ব্যালট পুড়িয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। লাগাতার ছাপ্পায় এভাবেই ক্ষোভ জানিয়েছেন রাজগঞ্জে মানুষ। শনিবার এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির এই এলাকায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এলাকায় ছাপ্পা ভোট চালিয়েছে তৃণমূল। ছাপ্পা ভোট মেনে নিতে পারেননি গ্রামের মানুষ। তৃণমূল নেতাদের ভূমিকায় জমা হয় তীব্র ক্ষোভ। তার বিস্ফোরক চেহারা দেখা যায়।
শনিবার রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট হয় রাজগঞ্জে। শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৬০ ঢোপেরহাট বুথে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীবাহিনী। গ্রামবাসীরা বলতে থাকেন যে ব্যালটে যা জমা হচ্ছে তা তাঁদের রায় নয়।
এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি গ্রামবাসীরা। রাগে ক্ষোভে বুথ থেকে ব্যালট বক্স বের করে মাঠে নিয়ে আসেন। এরপর ব্যালট বাক্সগুলিতে লাথি মারতে থাকেন অনেকে। আগুনও জ্বালিয়ে দেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ ও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি রাতেও। পরিস্থিতি থমথমে ।
এদিনই ছাপ্পা ভোটের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিকরা। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের নাথুয়াহাটের ১৫/৪১ নম্বর বুথের ঘটনা। আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন চ্যানেল ও পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তাঁদের মধ্যে ৬ জন সাংবাদিক গুরুতর জখম হন। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র।
বিষয়টি জলপাইগুড়ির জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। অভিযোগ, প্রায় ৪০- ৫০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ৬ জন গুরুতর জখম হওয়ায় ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। গুরুতর জখম সাংবাদিকদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
Comments :0