ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বাড়ছে ইজরায়েলী সেনার হানাদারি। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনার মধ্যেও হামলা বন্ধ করেনি ইজরায়েল।
৭ অক্টোবরের পর থেকে কেবল ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেই নিহত হয়েছেন ২৪২ প্যালেস্তানীয়। আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদে মধ্যে রয়েছে ৫৭ শিশু এবং এক মহিলা।
ইজরায়েলের জেলে বন্দি ৬ প্যলেস্তানীয়কেও হত্যা করা হয়েছে।
হামাসকে সন্ত্রাসবাদী বলে প্রচার চালিয়ে যুদ্ধে নেমেছে ইজরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় মৃতের সংখ্যা ১২০০। তার পর থেকে ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে। হামাস এবং ইজরায়েল দফায় দফায় বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। শেষ ধাপে হামাস গাজা থেকে ১০ ইজরায়েলী ও ২ বিদেশী নাগরিককে মুক্ত করেছে। ইজরায়েল জেল থেকে মুক্ত করেছে ৩০ শিশু ও মহিলাকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিভাগ ইউএনআরডব্লিউএ জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকে অবরুদ্ধ হাজায় ৭৫০টি ট্রাকে সরঞ্জাম পাঠানো সম্ভব হয়েছে। দিনে গড়ে ১৫০টি ট্রাক পৌঁছে মিশর সীমান্তে রাফাহ থেকে। কিন্তু অবিরত বোমায় গাজা যেভাবে বিধ্বস্ত প্রয়োজন ছিল দিনে ২০০টি করে ট্রাক পাঠানোর।
ইজরায়েলের সেনা হামলা চালাচ্ছে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের জেনিনে উদ্বাস্তু শিবিরে। ১২ ঘন্টা ধরে টানা চলেছে সেনার তল্লাশি। দু’টি বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। রাস্তাও কেটে দিয়েছে ইজরায়েলের সেনা।
সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘আল জাজিরা’ জানাচ্ছে সামরিক বাহিনীর গাড়ির ঝাঁক বুলডোজার সঙ্গে নিয়ে ঢুকে রয়েছে জেনিন শহরে। বিভিন্ন সময়ে ইজরায়েলের দখলদারি এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে জেনিনের মানুষকে। ইজরায়েলের সেনা ‘হামাসের সহযোগী’ ঘোষণা করছে এবং তারপরই আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্তত ২০ জনকে বন্দি করে রেখেছে ইজরায়েলের সেনা। বলা হয়েছে এঁদের অনেকদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল।
Comments :0