CITU

ডেপুটেশন কর্পোরেশন-নবান্নে, অধিকার আদায়ে জনমত গড়ার ডাক হকার নেতৃবৃন্দের

রাজ্য কলকাতা

মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার হকার আন্দোলনের দাবি শুনলেন ঠিকই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নামে চিঠি নিতেও রাজি হলো না নবান্ন। মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে সমস্যা বিশদে জানালেন পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকারস ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। 
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকার ফেডারেশন হকারদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ ও হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে পথে নামে। পার্ক স্ট্রিট ও বড়বাজারের ত্রিপল পট্টি থেকে দু’টি মিছিল আসে কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে। মেয়র ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি সনদ জমা দেন। 


কর্পোরেশনের সামনে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ সভা। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস দে। সম্পাদক অসিতাঙ্গ বলেন, ‘‘হকারদের সমস্যা মানে গরিব শ্রমজীবী মানুষের সমস্যা। একদিকে যেমন হকারদের সংগঠিত করতে হবে তেমন একইভাবে গরিব শ্রমজীবী অংশের মধ্যে হকারদের দাবিতে প্রচার চালাতে হবে। যাতে জনমত তৈরি হয়। এই জনমতই প্রশাসনকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে পারবে।’’
সিআইটিইউ নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি বলেন, "বর্তমানে দুই সরকারের নীতির জন্য সব মানুষ আক্রান্ত। মানুষের হতে কাজ নেই। বাধ্য হয়ে মানুষকে হকারি পেশায় আসতে হচ্ছে। যাদের সামান্য পুঁজিটুকু নেই তাঁরা বাধ্য হয়ে হকারি করে। যারা রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছেন পরিযায়ী হয়ে তাঁরা আবার লাশ হয়ে ফিরছেন। আর তৃণমূল এবং বিজেপি এই মানুষকে দ্বিধা বিভক্ত করতে চাইছে। রুখতে হবে বিভাজনের এই রাজনীতিকেও।’’
মেয়র ফিরহাদ হাকিম না থাকায় মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমারের কাছে গিয়ে তারা দাবি পত্র জমা দেয় পাঁচজনের প্রতিনিধিদল। দেবাশিস কুমার বলেছেন, ‘‘৮ হাজার হকারকে  চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁরা রাস্তায় বসে নেই, সঠিক নিয়ম মেনে ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ অংশে বসে আছেন। এছাড়াও বর্তমানে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ আছে। যা খুব তাড়াতাড়ি আবার শুরু করা হবে।’’ 
রাজ্য হকার ভেন্ডিং কমিটিতে কেন সিআইটিইউ'র প্রতিনিধি থাকবেন না? হকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান যে এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দেবাশিস কুমার।

Comments :0

Login to leave a comment