রাস্তা মেরামত করুন আগে তারপর গ্রামে হবে সভা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে গ্রামের ঢুকতেই পারলো না তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রধান, উপপ্রধান সহ বিডিও। ফলে পাড়ার সমাধান সভা ভুন্ডুল হল। ফিরে গেলেন তৃণমূলের নেতারা। এমন ঘটনায় এলাকায় শোরগোল। বৃহস্পতিবার বিকেলে দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের পাঁচবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিশোরনগর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।
বিক্ষোভকারী যুবক তুহিন সাউ, সুরেশ জানা বলেন, কিশোরনগর গ্রাম থেকে দাসপুর বাজারের টালিভাটা পর্যন্ত রাস্তাটি আজ ১৪-১৫ বছর ধরে বেহাল। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এখন আরও নরক কুন্ডুতে পরিনত। প্রায় দুই আড়াই কিমি এই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য দুই বছর আগে পথশ্রী প্রকল্পের সাইনবোর্ড বসেছিলো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে। বরাদ্দ হয়েছিলো ২৭ লক্ষর উপর টাকা। আজ দুই বছর পার সেই বরাদ্দ টাকার কোনও হিসাব নেই এবং রাস্তাও মেরামত হয়নি।
গ্রামের মানুষ বারেবারে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে কোনও রকম অ্যাম্বুলেন্স বা টোটো ঢুকতে চায় না এই রাস্তায়। স্কুলের বাচ্চা ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে টালিভাটা থেকে কিশোরনগর যাওয়ার এই রাস্তাটি।
গতকাল বুধবার হঠাৎ করে জানানো হয় বৃহস্পতিবার গ্রাম সংসদ সভা হবে। গ্রামের মানুষ মিলিত ভাবে দাবি জানিয়েছে, আগে বরাদ্দর টাকায় রাস্তা নির্মাণ হোক। তারপর গ্রামে পাড়ার সমাধান সভা হবে। যতদিন না এই দাবি মানা হচ্ছে ততদিন প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গ্রামের মানুষ বিডিওকে ঘিরে প্রশ্ন করে বরাদ্দ টাকার হিসাব কোথায় গেলো? এখন আবার বুথের বরাদ্দ টাকায় সেই রাস্তা নির্মাণ করে চুরি আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে কেন?
উপপ্রধান গোপাল রায় ও কিশোর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য নাসিমা বিবিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে বিডিও সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা এলে তাদেরও গ্রামে ঢুকতে না দিয়ে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ।
গ্রামবাসীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সাত দিনের মধ্যে রাস্তা মেরামত না করলে গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে বিক্ষোভ ঘেরাও চলবে। প্রয়োজনে বিডিও দপ্তরও ঘেরাও করবে।
Comments :0