Congress USAID

ভোটে বিদেশি টাকা এসে থাকলে অজিত দোভাল কী করছিলেন, প্রশ্ন কংগ্রেসের

জাতীয়

অজিত দোভাল বা ‘র’ তা’হলে কী করছিল? ২১ মিলিয়ন ডলার নজরদারি এড়িয়ে দেশে পৌঁছালোই বা কী ক’রে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি’র তোলা অভিযোগে এই সুরেই জবাব দিচ্ছে কংগ্রেস। 
শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ভারতের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিদেশি হস্তক্ষেপের জন্য কারা দায়ী খুঁজে দেখা হবে। 
আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন তহবিল বা ইউএসএইড ঘিরে বিতর্কে শুক্রবারও জ্বালানি জুগিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘সম্ভবত কোনও কিকব্যাক’ ছিল’।
চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রকাশ্য জনসভায় বলেন যে ভারতে ২০২৪’র ভোটের জন্য আমেরিকা থেকে ২১ মিলিয়ন ডলার পৌঁছেছিল। ট্রাম্প বলেছেন, বোধহয় ওদের প্রধানমন্ত্রী পছন্দ হয়নি। 
সিপিআই(এম)’র বরাবর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব সিপিআই(এম)। তবে বিজেপি এই দফায় নেমেছে বিদেশি অনুদানের বিরুদ্ধে নয়। সেই টাকা কংগ্রেসের হাতে পৌঁছেছে এই অভিযোগ তুলে।  ট্রাম্পের মন্তব্য লুফে নিয়ে বিজেপি বলছে, টাকার অঙ্কে প্রায় ১৭৮ কোটি টাকা পৌঁছেছে কংগ্রেসের কাছে। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, রাহুল গান্ধী বিদেশ সফরে সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন সময় ভাষণ দিয়েছেন। কংগ্রেস মোদীজীকে নিজের শক্তিতে হারাতে পারবে না। তাই বিদেশি শক্তির সাহায্য নিচ্ছে।।’’
এরপরই পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি এক সময়ে আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন তহবিলের হয়ে প্রচার করতেন। ‘ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডার’ ছিলেন তিনি। তাঁকে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভে অংশ নিতেও দেখা গিয়েছে। সেই বিক্ষোভের পিছনেও কী ইউএসএইড ছিল?’’
খেরার খেদ, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে একটি মিথ্যা ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অস্থিতিশীল করতে এই টাকা এসেছে। প্রশ্ন হলো, ২০২২ বা তার পর এই টাকা এসে থাকলে ভারতের বিদেশ বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কী করছিল? প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালই বা কী করছিলেন?’’
খেরার বক্তব্য, ২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তা’হলে মোদী কি বিদেশি টাকার জোরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সে সময়?    
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ যদিও দেখাচ্ছে ২০২২-এ ট্রাম্প যে অঙ্কের অর্থের কথা বলছেন, তা আসলে পৌঁছেছিল বাংলাদেশে।

Comments :0

Login to leave a comment