Jalpaiguri

রাজগঞ্জে তৃণমূলের বাধা হটিয়ে আক্রান্তদের পাশে মহিলা সমিতি

রাজ্য জেলা

আক্রান্তদের কাছে পৌঁছতেও বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিনিধিদল গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত পানিকৌড়ি জুমাগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের বাড়ির পথে। সেখানেই বাধা দেয় তৃণমূল। মহিলা সমিতির জলপাইগুড়ি জেলার নেতৃবৃন্দ যদিও বাধা হটিয়ে পৌঁছেছেন আক্রান্ত মহিলাদের কাছে।


বৃহস্পতিবার সন্ন্যাসী কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মাগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহিলা সমিতির নেতৃবৃন্দ আক্রান্তদের বাড়িতে কথা বলতে গেলেই তৃণমূলর দুষ্কৃতী বাহিনী ছুটে আসে। বলতে থাকে যে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছে সিপিআই(এম)। মহিলা নেতৃবৃন্দ পালটা বলেন, তৃণমূল যদি আক্রমণ না করে থাকে তা’হলে বামপন্থী মহিলা কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর হলো কিভাবে। 


এই সময়েই আক্রান্ত বামপন্থী কর্মী সমর্থক মহিলারাও বেরিয়ে আসে। তৃণমূলের বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মহিলা নেতৃবৃন্দ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। ছিলেন এলাকার সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। জুম্মাগছ এলাকা থেকে ফিরে গিয়ে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা। 


ধুপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মমতা রায়,  মহিলা নেত্রী ও  জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত,  সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রিনা সরকার, দিপালী মিত্র সহ নেতৃবৃন্দকে।
তাঁরা জানিয়েছেন, থানার আইসি ভেতরে ছিলেন কিন্তু বলে পাঠিয়েছেন যে তিনি জলপাইগুড়িতে কাজে গেছেন, ফিরতে দেরি হবে। শেষমেষ ওসি কথা বলতে বাধ্য হন। সিপিআই(এম) নেতা অশোক রায়, রতন রায়, শওকত আলী ছিলেন তখন। 
মহিলা সমিতি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাধা যতই দেওয়া হোক আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবে সংগঠন।

Comments :0

Login to leave a comment