CITU AIKS

কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কলকাতায় অবস্থানে শ্রমিক কৃষক নেতৃত্ব

রাজ্য

ছবি দিলীপ সেন

কেন্দ্রের মোদী সরকারের শ্রমিক কৃষক নীতির বিরুদ্ধে রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থানে বসলো সিআইটিইউ এবং সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। রবিবার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শুরু হয় কর্মসূচি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক, শ্রমিক ভীর জমিয়েছে শহরে।

কৃষকের ফসলের সঙ্গত দাম, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন চলছে গোটা দেশে। সারা দেশে আগামী ২৮ নভেম্বর রাজভবন করবে কৃষক এবং শ্রমিকদের বহু সংগঠন।

মূল্যবৃদ্ধির প্রবল হার এবং দেশে সর্বোচ্চ স্তরে বেকারি। কৃষক শ্রমিকরা তার বিরুদ্ধেও সরব রয়েছেন।
শ্রমিক কৃষক রাজ্য নেতৃত্ব এদিন জানিয়েছে, ‘‘রাজ্য সরকারকে বলব কর্মসূচিতে যেন বাধা না দেয়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তো দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরে আবার অন্য কথা বলেছেন। গ্রেপ্তার হলেও আমরা রাস্তাতেই থাকব।’’
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের শ্রমিক ও কৃষক বিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে জাতীয় কনভেনশন হয় গত আগস্টে। সেখান থেকেই রাজভবন অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিক ও কৃষক নেতৃবৃন্দ।

 

রাজ্যের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তিন কৃষি আইন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বাতিল করতে হয়েছিল বছরভর আন্দোলনের চাপে। দিল্লিতে সে সময় ফসলের ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করার জন্য আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। কথা রাখা হয়নি। শ্রম আইন বদলে শ্রম কোড তৈরি করে ন্যূনতম বেতন থেকে কাজের সুরক্ষা সব কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশের সব অংশের মানুষের পক্ষে এই লড়াই। 

দিল্লি কৃষক আন্দোলন জেরে পিছিয়ে গেলেও কৃষক নেতাদের ওপর এফআইআর চাপিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিউজক্লিকর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে। সাংবাদিকদের জেরা করা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট করার জন্য। এই ভূমিকার প্রতিবাদও হবে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর। 
ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক সংগঠনসমূহের তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের মজুরি দেওয়া, বছরে ২০০ দিন কাজ দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, মূল্যবৃদ্ধি কমানো এবং বিদ্যুৎ আইন সংশোধন বিল ও স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিও সরব তুলবে আন্দোলন। 
প্রথমে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির কোন অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের অনড় মনোভাবের কাছে মাথা নত করে কর্মসূচির অনুমতি দেয় রাজ্য প্রশাসন। উল্লেখ্য একাধিক রাজ্যে এই কর্মসূচির অনুমতি দিলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার যারা নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলে দাবি করে তারা অনুমতি দিচ্ছিল না।

Comments :0

Login to leave a comment