AIKS

সন্দেশখালির মানুষের সাথে কথা বললো কৃষকসভা, ডেপুটেশন প্রশাসনের কাছে

রাজ্য

সন্দেশখালির কৃষকদের যেই জমি লুঠ করেছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান এবং তার বাহিনী অবিলম্বে তা কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। তার সাথে চাষ না করতে পারা জন্য যেই ক্ষতি কৃষকদের হয়েছে তার ক্ষতিপুরন দিতে হবে সরকারকে। সোমবার সন্দেশখালি ব্লকে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকের কাছে এই দাবি জানালো সারা ভারত কৃষক সভার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। গ্রামবাসীদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথাও বলেন তারা।
এদিন সন্দেশখালি যান কৃষক সভা এবং খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য নেতৃত্ব। প্রশাসনের কাছে যেই ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কৃষকদের যেই জমি লুঠ করা হয়েছে তা তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারকে। মাছের ভেড়ীতে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি এবং ইচ্ছুক কৃষকদের প্রাপ্য টাকা দিতে হবে। সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের অভিযোগ লিজের টাকা চাইতে গেলে কোদালের বাঁট দিয়ে মাঁদর করা হতো গ্রামের পুরুষদের। তাদের অভিযোগ শাহাজাহান, শিবু এবং উত্তমদের বিরুদ্ধে। এদিন ডেপুটেশনে উল্লেখ করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ গ্রামবাসীরা করছেন তাদের শাস্তি দিতে হবে।
ডেপুটেশন দিয়ে কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, ‘‘জোর করে জমিতে লোনা জল ঢুকিয়ে কৃষক দের উপর অত্যাচার করেছে তৃণমূল। মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। কী করে জমির চরিত্র বদল হলো কী করে, আমরা জানতে চেয়েছি। আজ ডেপুটেশন দিলাম। যদি ব্যবস্থা না নেয় তবে কৃষক, খেতমুজররা রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করবেন।’’ 
গ্রামের মহিলারা বার বার দাবি করে আসছেন তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতের পর রাত তাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে শাহজাহান বাহিনী। কৃষক খেত মজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং কৃষকদের চাষের অধিকার সুনিশ্চিত করার।
কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মজুমদার বলেন, প্রশাসন থাকতে এই অত্যাচার হয়েছে। খেত মজুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘যে পুলিশের ছত্রছায়ায় এসব হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সরকার নেয়নি। যে মন্ত্রী এখানে কৃষক দের স্বান্তনা দিতে এসেছেন, সেই সুজিত বসুর বিধানসভা এলাকায় কী ঘটছে? জমি দখল হয়েছে সেখানে। এই ঘটনা সারা রাজ্য জুড়ে।’’

Comments :0

Login to leave a comment