SC BIKASH BHATTACHARYA

দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত বাঞ্ছনীয়: বিকাশ ভট্টাচার্য

জাতীয় রাজ্য

ছবি নিজস্ব সংগ্রহ থেকে।

‘‘দুর্নীতির অভিযোগ যেখানে এসেছে, সেখানে তদন্ত হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। আমার ধারণা, সুপ্রিম কোর্ট শুনানির পরে তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখবে।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার এই মন্তব্য করেছেন আইনজীবী এবং সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বে সুপ্রিম কোর্টের বিরলপ্রায় হস্তক্ষেপ করেছে শনিবার। 
রাজ্যে মেডিক্যালে সংরক্ষিত আসনে ভর্তিতে গুরুতর বেনিয়মের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি প্রক্রিয়া মেনে হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। 
সিবিআই’কে তদন্ত চালু করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের অপর বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হাকে বিচারপতি সেন প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও লিখিত নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। শুক্রবার দুই বিচারপতি বিরোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার শীর্ষ আদালত সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সিবিআই তদন্ত আপাতত স্থগিত রাখতে বলে জানিয়ে সোমবারই ফের হবে শুনানি।   
বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না এই দ্বৈরথ বিচারপতিদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি তাঁর রায়ে লিখেছেন যে বিচারপতি সৌমেন সেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করা উচিত। অভিযোগের যথার্থতা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ 
প্রবীণ আইনজীবীর সংযোজন, ‘‘একজন বিচারপতি বিচার করবেন। সাংবিধানিক দিক থেকে, অন্য বিচারপতি থেকে শুরু করে অন্য কেউই সেখানে নাক গলাতে পারেন না। সেটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।’’
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই, সূর্য কান্ত এবং অনিরুদ্ধ বসু। 
বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে এবং অভিষেক মনু সিংভি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির পক্ষে সওয়াল করেছেন এই মামলায়। সিবাল রাজ্য সরকারের পক্ষে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছেন। অভিষেকের পক্ষে বলা হয়েছে যে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বেঞ্চ সর্বদা তাঁর নাম উল্লেখ করে। 
সিবিআই’র পক্ষে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতিদের বলেছেন, বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ একটি আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু সেই আবেদন যথার্থ প্রক্রিয়া মেনে জানানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট এই পদ্ধতিতে বিচারপ্রক্রিয়ায় অতীতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে এক সদস্যের বেঞ্চ (বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির) বা ডিভিশন বেঞ্চ (বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন) কারও পক্ষে সওয়াল আমরা করছি না।

Comments :0

Login to leave a comment