এদিন সিপিআই(এম)'র কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কমরেড রায়ের জীবনের বিভিন্ন দিকের উল্লেখ করে বিমানবসু স্মৃতি চারনায় বলেছেন, কমরেড উমাশঙ্কর রায় ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তীতে সাক্ষরতা আন্দোলনের প্রসারের যে নিরলস ভুমিকার দৃষ্টান্ত রেখেগেছেন তা আমাদের কাছে শিক্ষনীয়। সাক্ষরতা আন্দোলন শিক্ষা আন্দোলনের ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সাক্ষরতা আন্দোলনের আরও ব্যাপ্তি ঘটাতে হবে।সাক্ষরতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক বাড়ির ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে গরীব পরিবারের পড়ুয়া ও মানুষজনকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করে শিক্ষা আন্দোলনকে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে যেতে হবে।
বসু আরও বলেন, বিভিন্ন ধারার বামপন্থী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সাক্ষরতার দাবিতে আন্দোলন। কমরেড উমাশঙ্কর রায়রা এই সাক্ষরতা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সমাজকে শিক্ষার অঙ্গনে এনেছেন। তাঁরা মানুষের চিন্তন ও মননের জগতকে প্রসারিত করার কাজ নিরলস ভাবে করে গিয়েছেন। সেই কাজের ধারাকে বজায় রাখতে পারলেই এই কমরেডদের যথাযত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এছাড়াও এদিনের সভায় স্মৃতিচারনা করেন কমরেড উমাশঙ্কর রায়ের ছাত্র আন্দোলন ও সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা গৌতম গাঙ্গুলি।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আল্পনা করণ সহ কমরেড রায়ের সহযোদ্ধারা।সভা পরিচালনা করেছেন সিপিআই(এম)'র কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার।
উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল প্রয়াত হন সাক্ষরতা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা কমরেড উমাশঙ্কর রায়।
Comments :0