জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রথম অধিবেশন সোমবার, ৪ নভেম্বর বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়, যখন পিডিপি বিধায়াক ওয়াহিদ পারা ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পুলওয়ামার প্রতিনিধিত্বকারী পারা বিজেপি বিধায়কদের তীব্র স্লোগানের মদ্যেই পূর্ববর্তী রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রস্তব পাঠ করেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) প্রবীণ নেতা আবদুল রহিম রাথার স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পারা তাঁর প্রস্তাব পেশ করে বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখে এই হাউস বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিরোধিতা করছে’’।
বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিধ্বনি হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে বিজেপি শিবির থেকে হইহট্টগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়ক শ্যাম লাল শর্মা পারাকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়ে বলেন, এই প্রস্তাব বিধানসভার প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে।
পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি পারার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে এক্স-এ পোস্ট করেছেন, ‘৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করে এবং বিশেষ মর্যাদা পুনরুদ্ধারের পক্ষে পরামর্শ দেওয়ার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য ওয়াহিদ পাড়ার জন্য গর্বিত। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন’।
যদিও, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই প্রস্তাবকে ‘‘ক্যামেরার জন্য’’ দেখনদারি বলে প্রত্যাখ্যান করে যুক্তি দেন যে প্রাক-অধিবেশন পর্বে এই বিষয়ে পরামর্শের অভাব এই প্রস্তাবের গুরুত্বকে হ্রাস করেছে।
যদিও তিনি যোগ করেন, ‘‘কিন্তু বাস্তবতা হল, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট নেওয়া সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দিচ্ছে না। যদি সত্যিকারের উদ্দেশ্য থাকত (৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব পাসকারীদের পক্ষ থেকে), তাহলে আগাম আলোচনা হত’’।
সকালের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সাথে যুক্ত করে, ক্ষুব্ধ পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাঁর ‘‘প্রতীকী বিরোধীতা’’ করার জন্য আবদুল্লাকে কটাক্ষ করেন, সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের কথা উল্লেখ করে যেখানে আবদুল্লা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাশ্মীরি শাল উপহার দিয়েছিলেন, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি বিধায়কের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছিলেন।
J-K Assembly session
৩৭০ ধারা নিয়ে বিশৃঙ্খলা জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে
×
Comments :0