COM MAHARANI KONAR

কমরেড মহারানী কোঙারের দেহ দান করা হলো বর্ধমানে

রাজ্য

শনিবার বর্ধমানে সিপিআই(এম) জেলা দপ্তরে কমরেড মহারানী কোঙারের মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

প্রবীণ কমিউনিস্ট নেত্রী কমরেড মহারানী কোঙারের মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। শনিবারই তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয় সিপিআই(এম) বর্ধমান জেলা দপ্তরে। 
এখানে প্রয়াত নেত্রীর মরদেহে পার্টির রক্তপতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার প্রয়াত হয়েছেন কমরেড মহারানি কোঙার। 
শ্রদ্ধা জানান অঞ্জু কর, অনাদি সাহু, অমল হালদার, অচিন্ত্য মল্লিক, সৈয়দ হোসেন। সিপিআই(এম) বীরভূম জেলা কমিটির পক্ষে গৌতম ঘোষ, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও বলরাম চ্যাটার্জী, পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষে বীরেশ মণ্ডল , জাহানারা খান, বাঁকুড়া জেলা কমিটির পক্ষে ইন্দ্রাণী মুখার্জি শ্রদ্ধা জানান। 
এরপর প্রয়াত নেত্রী কমরেড মহারানি কোঙারের মরদেহ নিয়ে শোকমিছিল এগিয়ে যায়। তাঁর মরদেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিকল্পে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে মেমারিতে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি  পার্টির জেলা কমিটির প্রাক্তন সদস্য, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষকসভার নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রয়াত জননেতা কমরেড বিনয় কোঙারের স্ত্রী।
তিনি ছিলেন প্রয়াত জননেতা কমরেড বিনয় কোঙারের স্ত্রী। 
লড়াইয়ের ময়দান থেকে উঠে আসা গণআন্দোলনের অন্যতম নেত্রী মহারানী কোঙার তাঁর মেমারির বাড়িতে বসে বলেছিলেন, “যতবার ব্রিগেড হবে, ততবারই আমি যাব। সেই ১৪ বছর বয়স থেকে ব্রিগেড যাচ্ছি।” মাস দেড়েক আগে ডিওয়াইএফ‌আই’র ইনসাফ যাত্রাতেও পা মিলিয়েছিলেন তিনি।  
কমরেড মহারানী কোঙারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত প্রমুখ। 
কমরেড মহারানী কোঙারের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৩ নভেম্বর। ১৯৫৮ সালে তিনি পার্টির সদস্যপদ অর্জন করেন। মেমারি এলাকায় পার্টির সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে পার্টি সংগঠনকে সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে কমরেড বিনয় কোঙার তখন জেলে, সেই সময়ে মহারানী কোঙার ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের মুখে দক্ষতার সঙ্গে পার্টি ও পরিবার দুই-ই সামলেছেন। 
কমরেড মহারানী কোঙার ১৯৮২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনবার মেমারি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন এবং বিধানসভায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। তাঁর সময়েই মেমারি পৌরসভা হয়, বাসস্ট্যান্ড গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল। তিনি দুই পুত্র, দুই কন্যা সহ বৃহত্তর পরিবারের  অগণিত সদস্যকে রেখে গেলেন।

Comments :0

Login to leave a comment