কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘দেশের সর্ববৃহত বিরোধী দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হলো, এটা সম্পূর্ন ভাবে অগনতান্ত্রিক। অনৈতিক ভাবে বিজেপি যেই টাকা তুলেছে সেই টাকা তারা নির্বাচনে খরচ করতে পারবে। আর কংগ্রেস মানুষের থেকে যেই সাহায্য পেয়েছে তা ব্যবহার করতে পারবে না।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘এই কারণেই আমরা বলি যে ভবিষ্যতে কোন নির্বাচন হবে না। বিচার বিভাগের কাছে আবেদন রাখবো যাতে তারা ভারতের বহু দলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করেন।’’
উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সেই মতো একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর রাহুলের এই যাত্রা চলাকালিন তাতে তারা ভালো সারাও পায়।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অজয় মাকেন বলেছেন যে আবখর বিভাগের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ন ভাবে রাজনৈতিক। তাদের অভিযোগের তীর সরাসরি বিজেপির দিকে। কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায় লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের বিপাকে ফেলার জন্য এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য যেই তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচনী বন্ড থেকে সব থেকে বেশি আয় যেই রাজনৈতিক দলের তা হচ্ছে বিজেপি। দ্বিতীয় কংগ্রেস। কিন্তু প্রথম এবং দ্বিতীয়ের মধ্যে ফারাক বিস্তর।
মাকেন জানিয়েছেন তারা ইতিমধ্যে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সূত্রের খবর চারটি ব্যাঙ্কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্ট গুলোর কোন চেক না নেওয়ার জন্য।
এদিন মাকেন জানিয়েছেন তারা আয়কর বিভাগকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সব রকম নথি জমা দিয়েছে পূর্বেই। তিনি বলেন, ‘‘কোন কোন বিধায়ক সাংসদ দলীয় তহবিলে সাহায্য করেছেন তার সব তথ্য দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই।’’ তার কথায় বর্তমানে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ায় কোন টাকাই দলের হাতে নেই। মাকেন বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বিল, কর্মীদের বেতন, ন্যায় যাত্রার খরচ বহন করার মতো কোন টাকাই এখন আমাদের হাতে নেই। দলের একটিই প্যান কার্ড। তার সাথেই চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত।’’
কংগ্রেসের অভিযোগ আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনে ২১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাদের। এই বিষয় মামলা বিচারাধিন থাকাকালিন আয়কর বিভাগের এই পদক্ষেপ।
Comments :0