ধৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে দশ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত। ৫৬ দিনে মাথায় মিনাখা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ। তারপর গ্রীন করিডোর করে ভাবনী ভবনে নিয়ে আসা হয় তাকে।
কিন্তু কোন মামলার ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি?
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির সাধারণ গ্রামবাসীরা যেই অভিযোগ জানিয়েছেন তার ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি। তিনি বলেন, ‘‘দুই তিন বছর পুরোন অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’ এতো দিন সময় লাগলো পুলিশের একজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে তাও যে কিনা সন্দেশখালি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দুরে মিনাখায় ছিলেন। এডিজির যুক্তি মামলা যেহেতু পুরোন তাই শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমান জোগাড় করতে তাদের সময় লেগেছে।
বিগত দুই তিন বছরে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৪২টি অভিযোগ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। এই প্রসঙ্গে গণশক্তিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের হাতে ছিল। সন্দেশখালির ওসির সাথে তৃণমূলের গুন্ডারা পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াতো।’’
এদিন সকালে এডিজি শাহজাহানের গ্রেপ্তারির বিলম্ব হওয়া নিয়ে একটি নতুন অজুহাত দেখান। তার কথায় ন্যাজাট থানায় ইডি শাহাজাহানের বিরুদ্ধে হামলার যেই অভিযোগ দায়ের করেছিল তাতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় ওই মামলায় তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কিন্তু হাইকোর্ট গ্রেপ্তারিতে কোন স্থগিতাদেশ জারি করেনি। একথা জানিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ইডির পক্ষ থেকে তাদের ওপর হামলার বিষয়টির তদন্ত করার জন্য একটি সিট গঠনের আবেদন করে। সেই সিট গঠনের স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। গ্রেপ্তারিতে নয়।
তবে এদিন সাদা পাজ্ঞাবি, জুতো পরে শাহজাহান যখন আদালতে প্রবেশ করছিলেন তখন তাকে কোন ভাবে দেখে মনে হয়নি যে সে দীর্গদিন পালিয়ে বেরিয়েছেন। সামনে হাঁটছেন তিনি পিছনে পুলিশ, আগে যেমন হতো।
Comments :0