GUJARAT DALIT FOOTWEAR

জুতো মুখে তুলতে হলো গুজরাটের দলিত যুবককে

জাতীয়

ছাঁটাই করা হয়েছিল আচমকা। কাজ করেছিলেন ১৬ দিন। বেতন চাইতে গিয়ে ব্যবসায়ী আর তার দলবলের হাতে জুটল মার। একুশ বছরের এই দলিত যুবককে বাধ্য করা হলো মালিকের জুতো মুখে নিতেও। 
মারাত্মক এই নির্যাতন হয়েছে গত বুধবার, গুজরাটের মোরবিতে। প্রায় দু’দিন কেটে যাওয়ার পরও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। কেবল একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। 
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবক নীলেশ দালসানিয়া জানিয়েছেন যে অক্টোবরের গোড়ায় ওই ব্যবসায়ী বিভূতি প্যাটেল তাঁকে কাজে নিয়োগ করেন। মাসে ১২ হাজার টাকা মাইনে দেওবার কথা ছিল। ১৬ দিন কাজ করার পর আচমকাই ছাঁটাই করে দেন। কিন্তু ১৬ দিনের মজুরি দেননি। ফোনে যোগাযোগ করলেও ধরছিলেন না মহিলা। 
বুধবার ভাই এবং বন্ধুকে নিয়ে প্যাটেলের দোকানে যান নীলেশ। মজুরি দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিছু পরেই দলবল নিয়ে হাজির হয় মালিকের ভাই ওম প্যাটেল। প্রায় ছয়-সাতজন ছিল দলে। ছিল দোকানের ম্যানেজারও। পৌঁছেই নীলেশ, তাঁর ভাই এবং বন্ধুকে ঘিরে পিটতে শুরু করে। দোকান যেখানে, সেই রাভাপার ক্রসরোডের মার্কেট কমপ্লেক্সের এক কোণে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তিনজনকেই। কিল, চড় ঘুঁষির সঙ্গে মাটিতে ফেলে বেল্ট দিয়ে মারা হতে থাকে। 
এখানেই অত্যাচার শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার পুলিশে এফআইআর দায়ের করে নীলেশ বলেছেন, বিভূতি প্যাটেল তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার জুতো মুখে করে তুলতে বাধ্য করে। বেতন চাওয়ার দায়ে ক্ষমা চাইতে হয় নীলেশকে। ভিডিও তোলা হয়, নীলেশকে বলতে বাধ্য করা হয় যে তোলাবাজি করতে দোকানে এসেছিলেন তিনি। 
পুলিশ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে ওই ব্যবসায়ী এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হুমকি, মারপিট বাঁধানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তফসিলি জাতি ও আদিবাসী নির্যাতন রোধ আইনের বিভিন্ন ধারাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
কিন্তু ঘটনার দু’দিন পরও রাজ্যের বিজেপি সরকারের পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারল না কেন? গুরুতর এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি পুলিশ। কেবল বলা হয়েছে, তদন্ত চলছে!
 

Comments :0

Login to leave a comment