JALPAIGURI KOROLA RIVER

করলা নদী থেকে বিপজ্জনক জাল সরালেন পরিবেশপ্রেমীরা

জেলা

করলা নদী থেকে জাল সরাচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি

করলা নদীর ভারসাম্য এবং জীব বৈচিত্র্য নিয়ে মাথায় হাত মৎস্য দপ্তর থেকে শুরু করে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের। তার উপর নদীর মধ্যে বেড়ে ওঠা কচুরিপানায় নাভিশ্বাস খোদ নদীরই। গোদের উপর বিশ ফোঁড়া এবার ‘ট্র্যাপ নেট’। 
শুক্রবার সকালে করলার সমাজপাড়া ঘাট সংলগ্ন নদীবক্ষ থেকে উদ্ধার হল এই বিপজ্জনক জাল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ি শহরের একটি সমাজ সেবী সংগঠনের তরফে এই নেট উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে এই নেটে নদীর বড় মাছের সাথে সব ধরনের ছোট এবং গভীর জলে থাকা মাছও আটকে যায়। ফলে জলের জীব বৈচিত্র্য ক্ষতি হতে পারে। এমনকি নির্মূল হয়ে যেতে পারে মাছের প্রজন্মও। 


করলা নদীতে ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। কচুরিপানা, টোপা পানা, আবর্জনায় পরিপূর্ণ জলপাইগুড়ির হৃদয় করলা নদীর বক্ষ,কমছে গভীরতা। স্রোতবিহীন অবস্থায় প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে জলপাইগুড়ির করলা নদী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল’ এই বিপদকে মেনে নিয়েছে।
করলা নদী কচুরিপানায় ভরা। থার্মোকল, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক, ক্যারিব্যাগের মতো আবর্জনায় ভরা নদীবক্ষ। স্রোত হারানো নদীতে বেড়েছে শ্যাওলার সংসার। দূর থেকে দেখলে মনে হবে নদীর চেহেরা বিকৃত হয়েছে। হারাচ্ছে নদীর নাব্যতাও। 
নদীর পরিষ্কার রাখতে বা নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে  এর আগেও জেলা প্রশাসনের তরফে আলোচনা হয়েছিল করলা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 
তবে নাগরিক আন্দোলনের চাপে করলা নদী সংস্কারে সদ্য হাত দিয়েছে জলপাইগুড়ির নগর প্রশাসন। 
জলপাইগুড়ি শহরের বাবুঘাট থেকে শুরু করে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত করলা নদীর বুক নোংরা আবর্জনায় ভরা। বারংবার প্রশাসনের কাছে আবেদন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরের জেরে নদীর সংস্কারের কাজ শুরু হলেও শহরবাসীদের নদীর প্রতি আরও যত্নবান হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে পৌর প্রশাসনও। এরপরও সমাজপাড়া ঘাট সংলগ্ন নদীবক্ষ থেকে ‘চায়না নেট’ উদ্ধার হাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা।

তবে কে বা কারা এই নেট লাগিয়েছে তার হদিস মেলেনি। এর আগে এধরনের মাছ ধরার জাল করলার বুকে মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য জয়ন্ত কর বলেন, আমরা  কিছুদিন ধরেই খবর পাচ্ছিলাম যে এই ধরনের নেটের সাহায্যে করলা য় মৎস শিকার চলছে এর আগে নদীর জলে মরা ভেসে ওঠায় বিশ প্রয়োগের আশংকা করা হয়েছিল। আজ আমরা এসে চায়না নেট উদ্ধার করি এবং মৎস দপ্তরের হাতে সেই জাল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আগামীতে এই বিষয়গুলো যাতে খেয়াল রাখা হয় সে বিষয়েও আবেদন জানানো হয় নদীর পাড়ের মানুষদের।

Comments :0

Login to leave a comment