Co-operative Jalpaiguri

মহাজনী ঋণের বিকল্প সমবায়ই, জলপাইগুড়িতে মহিলা সমবায় সমিতিতে আলোচনা সভা

জেলা

সমবায় সপ্তাহে আলোচনা জলপাইগুড়ি মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতিতে।

জলপাইগুড়ি মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতির উদ্যোগে ও জেলা সমবায় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনায় ৭২ তম নিখিল ভারত সমবায় সপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠান পালিত হলো ডিবিসি রোডের প্রধান কার্যালয়ে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়। 
এ বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার আবহে সমবায় মডেলের গুরুত্ব ছিল বিষয়। 
গত বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় ইউনিয়নের সিইও পেমলা দরজি ভুটিয়া, প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বসু, সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক সীমান্ত ভট্টাচার্য, নিদাম ভুটিয়া, সমিতির সম্পাদিকা মিনু ঘোষ, ম্যানেজার বানী সেন ঘোষ সহ বিভিন্ন সমবায় আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন সমিতির চেয়ারম্যান বিষ্ণুপ্রিয়া দে, ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী রানী রায়, ডাইরেক্টরবৃন্দ ও বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
সমিতির সম্পাদিকা মিনু ঘোষ জানান, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে সমবায় ব্যবস্থাকে আধুনিক, দক্ষ এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করা জরুরি। ম্যানেজার বাণী সেন ঘোষ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জলপাইগুড়ি মহিলা সমবায় মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, আগামী দিনে সেই কাজকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা সমবায় ইউনিয়নের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পেমলা দরজি ভুটিয়া ও  ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বসু বলেন যে ডিজিটালাইজেশন ও কম্পিউটারাইজড হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে কর্মীদের কাজ সহজ হবে। স্বচ্ছতা বাড়বে এবং সমবায় আরও আধুনিক রূপ পাবে। সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক সীমান্ত ভট্টাচার্য বলেন যে মহাজনী ঋণের শৃঙ্খল থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র সমবায়ই। তাই গ্রাম থেকে শহর- সর্বত্র সমবায় আন্দোলনকে বিস্তৃত করা জরুরি।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের সমবায় শিক্ষা আধিকারিক সোমা সরকার। জেলার বিভিন্ন এলাকার সমবায়ের মহিলা সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

Comments :0

Login to leave a comment