একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকে। পরিবারের অভিযোগ, মুখ বন্ধ রাখতে কৌশলে চাপ দিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের নেতা কর্মীরা যখন পুজো ও কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত তখন রাজ্যে তখনই এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে।
দুর্গাপুজোর দশমীর দিন, রবিবার, রাত ১০টা নাগাদ কৃষ্ণপুর অঞ্চলের রাস্তার ধারে এই নাবালিকাকে অচৈতন্য দেখতে পান স্থানীয়রা। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে।
পুজোর মধ্যেই মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় সাড়ে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। শিশুর মাকে ঘন্টার পর ঘন্টা থানায় বসিয়ে রেখেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়নি। মায়ের অনড় অবস্থান এবং ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দের আন্দোলনের জেরে এই ধারা যোগ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে কিশোরীর খুন-ধর্ষণেও পুলিশকে একই ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসএফআই’র জেলা সম্পাদক চিরঞ্জিত মণ্ডল বলেন, ‘‘স্থানীয়রাই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। এরপরই নাবালিকাকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন।’’
সোমবার সকালে নাবালিকার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি দলে চিরঞ্জিত মণ্ডল, মোয়াজ্জেম হোসেন, রিয়াজুদ্দিন বিশ্বাস, রেজাউল করিম, মানিক মণ্ডল এবং এসএফআই নেতা আক্রাম হোসেন ও জেলা কমিটির সদস্য সাজিদুল ইসলামও ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ বন্ধ রাখতে চাপ দিচ্ছে নানা কৌশলে। এসএফআই এবং সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
KALIACHAK STUDENT RAPE
অচৈতন্য অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার কালিয়াচকে, অভিযোগ ধর্ষণের
×
Comments :0