অনির্বাণ দে
১৭ তম দিনে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি থেকে পথচলা শুরু করল ইনসাফ যাত্রা। ডিওয়াইএফআই’র ডাকে চলতি মাসের ২ তারিখে কোচবিহার থেকে শুরু হয় এই যাত্রা। এদিন সাগরদীঘিতে বড় জমায়েতের মাধ্যমে মিছিল শুরু হয়। রবিবার গুজরাটের আমেদাবাদে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। গোটা দেশ ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে। এই অবস্থায় যুবকর্মীরাও ভারতীয় জাতীয় দলের জার্সি পরে মিছিলে সামিল হন এদিন। মীনাক্ষি মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ যুব আন্দোলনের বহু নেতাকর্মীর গায়ে এদিন বিরাট কোহলির নাম লেখা জার্সি ছিল।
সাগরদীঘি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা খুব অল্প সময়ে মহামিছিলের আকার ধারণ করে। কয়েক কিলোমিটার পথ পেরোতে না পেরোতেই সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে ফুলের মালা পরিয়ে পদযাত্রীদের বরণ করে নেন। দীর্ঘ চলার পথে মাঝে মাঝেই মাঝারি থেকে বড় আকারের জনসভা হয়েছে। প্রতিটি জমায়েত থেকে যুবদের ডাকে হতে চলা ব্রিগেডের সমাবেশকে সফল করার আহ্বাণ জানানো হয়। এদিন বিকেলে পদযাত্রা সাগরদীঘি পেরিয়ে খড়গ্রামে পৌঁছয়। যুব কর্মীরা ছাড়াও মিছিলে কৃষক, খেতমজুর, মহিলারা সহ সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষও ছিলেন। মিছিলে অংশ নেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।
সূর্যাস্তের পরে খড়গ্রামের শেরপুর বাজারে পৌঁছয় বিশাল মিছিল। বাজার অঞ্চলে যুবকর্মীরা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য জায়েন্ট স্ক্রিন বসান। গোটা জমায়েত নিয়ে সেই জায়েন্ট স্ক্রিনের সামনে বসে পড়েন মীনাক্ষি মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ। জায়েন্ট স্ক্রিনের সামনে মাঝারি আকারের জনসভার জটলা দেখা দেয় নিমেষের মধ্যে। স্থানীয় মানুষ, বিশেষ করে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এই কর্মসূচি নিয়ে চোখে পড়ার মত উৎসাহ ছিল।
Comments :0