DYFI Insaf Rally

ইনসাফ যাত্রার শুরুর মুখে ব্যাপক উৎসাহ কোচবিহারে

রাজ্য

৩ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ইনসাফ যাত্রা। কোচবিহার থেকে শুরু হবে এই যাত্রা। শেষ হবে কলকাতায়। যাত্রার শেষে ব্রিগেড সমাবেশ হবে ৭ জানুয়ারি। ডিওয়াইএফআই রাজ্য নেতৃবৃন্দের কথায় সেই ব্রিগেড হবে ‘যৌবনের ডাকে জনগনের ব্রিগেড’। আনিস খান, বিদ্যুৎ মণ্ডলদের খুনের ‘ইনসাফ’ চেয়ে গত বছর সেপ্টেন্বর মাসে ধর্মতলায় ইনসাফ করেছিল ডিওয়াইএফআই। সেদিন থমকে গিয়েছিল রাজপথ। ভিড়ে ঠাঁসা ধর্মতলায় ম্যাটাডোরে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জিরা। 
এবার আর ধর্মতলা নয়। যুবদের লক্ষ ব্রিগেড ভড়ানো। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলায় প্রচার, ছোট বড় সভা চালাচ্ছেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। হুগলীতে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে ডাকা সাধারণ সভায় উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতোই।


মীনাক্ষী মুখার্জির কথায়, ‘‘কাজের দাবিতে, মানুষের জ্বালা যন্ত্রনার বিরুদ্ধে এই ইনসাফ যাত্রা। বাংলার বেকার যুবল যুবতীদের সাথে যেই অন্যায় হয়েছে তার ইনসাফ চাইবো আমরা। বেঁচে থাকতে গেলে একজন মানুষকে যেই পরিমান লড়াই করতে হচ্ছে তার বঞ্চনার, শোষনের ইনসাফ চাইবে বাংলার যুবক যুবতীরা।’’
নেতৃত্বের কথায় যৌবনের স্পর্ধাকে কোন ভাবেই আটকে রাখা যাবে না। শারদৎসবের সময় আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সাথে গিয়ে দেখা করেন ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ। নেতৃত্বের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় যে তাদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে চাকরি প্রার্থীরা থাকবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘‘শুধু চাকরি প্রার্থীরা নন, ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরাও থাকবেন আমাদের সমাবেশে। সমাজের সব অংশের মানুষকে আমরা বলছি ব্রিগেড সমাবেশে আসার জন্য।’’


যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত কোচবিহার থেকে বলেন, ‘‘আগামীকাল সকাল ৯টায় শুরু হবে পদযাত্রা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে পদযাত্রীরা আসতে শুরু করেছেন।’’ তিনি জানিয়েছেন প্রতিটা জেলা থেকে তিনজন স্থায়ী পদযাত্রী থাকবে যারা আগামী দুমাস চলতে থাকা এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন। 
কলতান দাশগুপ্তের কথায় তাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে। পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কোচবিহার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পতাকা, ব্যানার লাগানোর কাজ করছেন সংগঠনের কর্মীরা। 
ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের এই কর্মসূচির হবে মানুষের দেওয়া সাহায্যের ওপর ভিত্তি করেই। বিভিন্ন জেলায় বাড়ি বাড়ি সংগঠনের কর্মীরা পয়সা রাখার ভাঁড় দিয়ে এসেছেন। যেখানে প্রতিদিন ওই পরিবারের সদস্যরা কিছু কিছু করে টাকা জমাবেন। একমাস পর সেই ভাঁড় আবার যুব সংগঠনের কর্মীরা নিয়ে আসবেন ওই বাড়ি থেকে। 
ইনসাফ যাত্রা এবং ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি তাদের নিজেদের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, পোস্টার পোস্ট করেছেন। সেখানে যেমন কৃষক তার ফসলের মজুরি চাইছেন, মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের জ্বালার কথা যেমন উঠে আসছে তেমন থাকছে চাকরি প্রার্থীদের কথা। আবার থাকছে শহীদ বিদ্যুৎ মণ্ডলের মা এবং আনিস খানের বাবার ইনসাফের দাবি।

Comments :0

Login to leave a comment