ELECTION J-K

জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট নয় কেন, প্রশ্নের মুখে কমিশন

জাতীয়

লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সুচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন কমিশন এই পর্বেই করানো হচ্ছে না কেন। 

শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে। জম্মু ও কাশ্মীরে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত কেন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। 

২০১৯’র ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়েছে। এই পর্বে রাজ্যের বেনজির উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু নির্বাচন করা হয়নি।

প্রশ্নের জবাবে রাজীব কুমার বলেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করাতে আমরা দায়বদ্ধ। সাধারণ নির্বাচন মিটে গেলেই এই নির্বাচনের দিকে নজর দেওয়া হবে।’’

কিন্তু সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে নয় কেন?

কুমারের বক্তব্য, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের সব দলই চেয়েছিল সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভার নির্বাচন করাতে। কিন্তু প্রশাসনিক দিক থেকে তা করা অসুবিধাজনক। প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তত ১০-১২ প্রার্থী থাকবেন। সব মিলিয়ে ১০০০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষা কর্মী মোতায়েন করতে হবে। সাধারণ নির্বাচনের সময় এই বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়।’’ 

জম্মু ও কাশ্মীরে আসন পুনর্বিন্যাস হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি বাদে আর প্রায় সব রাজনৈতিক দল কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে যদিও ভোট নেওয়া হবে ১৯ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত পাঁচ দফায়। 

রাজীব কুমার বলেছেন, ‘‘আসন পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে সংসোধন হয় গত ডিসেম্বরে। তার পর থেকে নির্বাচনের জন্য সময় গুনছে কমিশন।’’

কেবল বিধানসভা নয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪ হাজার ৮৯২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়াদও শেষ হয়েছে। ২০২৮’তে তৎকালীন রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসন জারি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় শাসনে রেখেই সংসদে পাশ করানো হয় ৩৭০ ধারা বাতিলের বিধি। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলা হলেও শীর্ষ আদালত এই পদক্ষেপকে অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মনোভাবের বিপক্ষে বারবারই সরব হচ্ছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল। 

৩৭০ ধারা বাতিলের সঙ্গে লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের শাসনে ক্ষোভ জানিয়ে ফ্রেব্রুয়ারি থেকে বারবার রাস্তায় নামছেন লাদাখের জনতা। দাবি উঠেছে নির্বাচন এবং স্বশাসনের। 

Comments :0

Login to leave a comment