নিয়ম অনুযায়ী সরকারি স্কুলে বার্ষিক ফি ২৪০ টাকা। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা এবং সাগরের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। যেমন কাকদ্বীপের আদর্শ বিদ্যামন্দির। এলাকায় নামি স্কুলেই পরিচিত। সেই স্কুলেই পড়ুয়াদের থেকে ডোনেশনের নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ফি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করেই নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই।
এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য মৈত্রেয়ী ভুঁইয়া বলেন, ‘‘সরকারি স্কুলের যেই ফি নেওয়ার কথা তা কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানার সব স্কুলেই মানা হচ্ছে না। ২৪০ টাকার বদলে বাড়তি টাকা চাওয়া হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে।’’
কিন্তু কেন বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে? এসএফআই নেতৃত্বের অভিযোগ, ডোনেশন বা ডেভেলপমেন্ট ফি বলে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
লকডাউনের পর থেকেই যে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে তা নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। যেই স্কুলগুলির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই স্কুলগুলির পরিচালন সমিতির মাথার ওপর বসে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময়েও ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন এসএফআই কর্মীরা।
বিগত কয়েকদিন ধরে এই ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাকদ্বীপ, সাগরে অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলে স্কুলে, এআই অফিসে, বিডিও অফিসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই কর্মীরা। বিডিও’র পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার। তবে আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ সরকারি ভাবে নেওয়া হয়নি।
সরকার নির্ধারিত ফি নেওয়ার দাবিতে স্কুলে স্কুলে পোস্টারিং করার পাশাপাশি লাগাতার পথ সভা চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। মৈত্রেয়ীর কথায়, ‘‘ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র এসএফআই নয়। অভিভাবকরাও পথে নেমেছেন। তারা প্রতিনিয়ত স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে।’’
গত বছর কাকদ্বীপের জেলে পাড়ার বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে ১০০০ টাকা ফি চাওয়া হয়। সেই কথা জানানি হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে নির্ধারিত ফি নেওয়ার দাবি জানায় এসএফআই। সেই দাবি প্রথমে না মানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালন সমিতির সাথে বচসায় জড়ায় এসএফআই কর্মীরা। তবে এসএফআই কর্মীদের চাপের মুখে পড়ে সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকা নিতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Comments :0