Fire

অ্যাক্রপলিস মলে আগুন

রাজ্য কলকাতা

কসবার অ্যাক্রপলিস মলে আগুন। শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় দক্ষিণ কলকাতার এই মলের ফুড কোর্ট থেকে। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মলের তিন তলায় যেই ফুড কোর্ট আছে সেখানেই আগুন লাগে। গোটা মল মোটা কাঁচ দিয়ে ঘেরার কারণে ভিতরে দমবন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের বাহিনী উপস্থিত হয়। 

 আগুন লাগায় মলের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য ওই মলের ওপরের একাধিক সংস্থার অফিস রয়েছে। সেখানেও আতঙ্ক ছড়ায়। রাস্তায় বেরিয়ে আসে সবাই। মলের কর্মীদের সহ অন্যান্য সংস্থার কর্মীদের নিরাপদে বাইরে নিয়ে আসা হয়। পাশের গীতাজ্ঞলী স্টেডিয়ামে রাখা হয় তাদের। এর মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের নিরাপদ বাইরে আনা সম্ভব হয়। 

দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। প্রথমে ধোঁয়ার কারণে দমকলের আধিকারিকরা ভিতরে যেতে পারছিলেন না। তারপর অক্সিজেনের সাহায্য তারা ভিতরে যান।

মলের ভিতর থেকে ধোঁয়া রাব করার জন্য হাইড্রোলিক ল্যাডারের সাহায্যে বাইরে থেকে কাঁচ ভাঙা হয়। 

এদিন যেই সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় ফুড কোর্টের পাশের পেক্ষাগৃহে কয়েকজন ভীড় করেছিলেন। তাদেরকেও নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।

দমকলের প্রাথমিক অনুমান ফুড কোর্ট থেকেই এই আগুন লাগে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ঘটনাস্থলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কি ভাবে আগুন লেগেছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। ফরেন্সিক তদন্ত হলে বলা যাবে।’’

প্রশ্ন এখানেই অ্যাক্রপলিসের মতো কলকাতা শহরের প্রথমসারির একটি মল যেখানে প্রতিদিন বহু মানুষ ভীড় জমায়, বিভিন্ন সংস্থার অফিস আছে সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্ভাপন ব্যবস্থা ছিল না যার সাহায্যে প্রথমেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো। 

কয়েকদিন আগে পার্ক স্ট্রিটে অ্যালেন পার্কের পাশে একটি বহুতলে আগুন লাগে। সেখানেও একটি রুফটপ বার থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি কোন নিয়ম না মেনেই দমকলের পক্ষ থেকে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে যার ফলে শহরে ঘটছে একের পর এক অগ্নিকান্ড। মন্ত্রী অবশ্য এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

Comments :0

Login to leave a comment