ইজরায়েল ইরান সংঘাতের ফলে নড়ে যেতে পারে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। প্রভাব পড়বে সুরক্ষাতেও। ইজরায়েলে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হানার পরে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানাল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে মিসাইল হানা চালায় ইজরায়েল। সেই হামলায় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর ২ শীর্ষ কমান্ডার সহ ৭ জন ইরানীয় সামরিক অফিসার প্রাণ হারান। তার পালটা শনিবার-রবিবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান।
তার আগে, শনিবার সকালে হরমুজ প্রণালীর কাছে একটি পণ্যবাহী জাহাজের দখল নেয় ইরানীয় নৌবাহিনী। ইরানের দাবি, জাহাজটির মালিক এক ইজরায়েলী ধনকুবের। এমএসসি অ্যারিজ নামে আটক হওয়া জাহাজে ১৭ জন ভারতীয় নাবিক রয়েছেন। তাঁদের ছাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে কথা শুরু করেছে ভারত।
হামলা পালটা হামলার প্রেক্ষিতে ভারত বলছে, ‘‘অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমিত করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে দু’পক্ষকে।’’ একইসঙ্গে ইরান, ইজরায়েল সহ মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয়দের আশ্বস্ত করে নয়াদিল্লি বলেছে, ‘‘এই অঞ্চলের ভারতীয় দূতাবাসগুলি অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছে।’’
বিদেশমন্ত্রক বলছে, ‘‘আমরা পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। ইরান এবং ইজরায়েলের সংঘাত গোটা অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করতে পারে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা চাইব, দু’পক্ষ অবিলম্বে সহিষ্ণুতা দেখাক এবং হিংসার পথ ছেড়ে কূটনীতিকে আশ্রয় করে বিবাদ মেটানোর উদ্যোগ নিক।’’
শনিবার-রবিবার রাতের ইরানীয় হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েলের দাবি, ৩০০টির বেশি ড্রোন এবং মিসাইল ছুঁড়েছিল ইরান। অধিকাংশ ক্ষেপনাস্ত্রকে মাঝ আকাশেই অকেজো করে দিয়েছে ইজরায়েলের মিসাইল প্রতিরোধী বাহিনী এবং বিমান বাহিনী।
Comments :0