ম্যানচেস্টার সিটি-১
লিভারপুল-১
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে আটকে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে লিগের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুইদল। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ম্যাচের শেষলগ্নে এসে গোল শোধ করে লিভারপুল। ঠিক ৭৯ মিনিটের মাথায়।
ইপিএলে শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। একদম ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল। সেই অবস্থায় এই ম্যাচ যেই জিতত, সেই দলই ইপিএলের তালিকার শীর্ষে উঠে আসত। দুইদল সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল। কিন্তু পেপ গুয়ার্দিওলা‘র দল সিটি এবং জুর্গেন ক্লপের লিভারপুলকে পয়েন্ট ভাগ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
এদিনের ম্যাচে শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তোলে সিটি। ১০ মিনিটের মাথায় ফিল ফোডেনের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। পালটা আক্রমণে ওঠে লিভারপুলও। ১৫ মিনিটে মহম্মদ সালাহ ক্রস বাড়ান। বলে মাথা ছুঁইয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দিয়েগো জোটা। ১৮ মিনিটের মাথায় সিটির হালান্ড গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন লিভারপুল কিপার অ্যালিসন বেকারের ভুলে। শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন বেকার।
কিন্তু এত কিছু করেও হালান্ডের গোল আটকানো যায়নি। ২৭ মিনিটে নুনেজ মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ওঠেন। ফাইনাল থার্ডে পাস বাড়ান হালান্ডকে। গোল করতে ভুল করেননি ম্যানচেস্টার সিটি‘র এই গোল মেশিন।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে লিভারপুল গোল লক্ষ্য করে গড়ানো শট নেন ফোডেন। শরীর ছুড়ে দিয়ে পতন রোধ করেন অ্যালিসন বেকার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রাখে সিটি। ৫১ মিনিটে জরেমি ডোকু ক্রস বাড়ান জুলিয়ান আলভারেজকে লক্ষ্য করে। আলভারেজের হেড বারপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৬৭ মিনিটে হ্যান্ডবলের অপরাধে সিটির একটি গোল বাতিল হয়।
৭১ মিনিটে পালটা আক্রমণে উঠে আসে লিভারপুল। সালাহ ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ান নুনেজকে। কোনওক্রমে গোল বাঁচান সিটির গোলরক্ষক এডারসন।
৭৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ওপরে ওঠেন লিভারপুলের লুইজ ডিয়াজ। তিনি পাস বাড়ান সালাহ’কে। সালাহ বল এগিয়ে দেন ট্রেন্ট আর্নল্ডকে। জোরালো শটে সমতা ফেরান আর্নল্ড।
এদিনের ম্যাচে সিটির বল দখলের হার ছিল ৬১ শতাংশ। লিভারপুলের তুলনায় দ্বিগুণ শটও নেন সিটির ফুটবলাররা। বেশি পাসও খেলেছেন তাঁঁরা। কিন্তু প্রতি-আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পরাজয় আটকালো লিভারপুল।
এই ম্যাচের পরে ১৩ ম্যাচ খেলে সিটির সংগ্রহ ২৯ পয়েন্ট। একই সংখ্যক ম্যাচে লিভারপুল পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট।
Comments :0