ইনসাফ যাত্রার ২৩ দিন। শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কুলীনগ্রাম থেকে শুরু হয় মিছিল।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার সারাংপুরে রঞ্জিত মন্ডল, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূলই দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৫ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করেন ইনসাফ যাত্রীরা। মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহার রঞ্জিত মন্ডলের মায়ের সাথে কথা বলেন।
ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির আহ্বানে ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে পদযাত্রা। শেষ হবে কলকাতায়। শনিবার ২৩ ৩ম দিনের সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের অন্তর্গত মশাগ্রামে সভা করেন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব।
কাজ চাই, শিক্ষা চাই। এই দাবিকে সমানে রেখে দুমাস রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে ডিওয়াইএফআই। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই ইনসাফ যাত্রা। যুব নেতৃত্বের কথায় কাজের দাবিতে তাদের এই পদযাত্রা শুধু নয়। রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে ভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে অন্যায় করে চলেছে তার ‘ইনসাফ’ চেয়ে তারা পথে নেমেছে।
কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় বার বার দেখা যাচ্ছে যে, ছোট বড় বিভিন্ন সভায় যুবরা বলছেন, কাজের দাবি শুধু নয় সাধারণ মানুষে নিত্য দিনের যেই সমস্যা বিচার তারা চায়।
গায়ে সাদা জামা। মাথায় সাদা টুপিতে আঁকা লাল তারা। সবার হাতে বড় সাদা ঝান্ডা। যেই ঝান্ডা রাজ্যের কারখানার জন্য পদযাত্রা করেছিল, বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জন্য রক্ত দিয়েছিল। সেই সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবার কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করলো কাজের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে।
Comments :0